আবারও খালেদের ৪ উইকেট, হোবার্টকে হারাল রংপুল

ছবি: ফাইল ছবি

প্রথম ৩ বলেই ৮ রান নেন নবি। তৃতীয় বলে সিঙ্গেল না নিয়ে নিজেই দায়িত্ব নিয়ে ম্যাচ জেতাতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে চতুর্থ বলে স্বদেশি ব্যাটারকে ফিরিয়ে রংপুরকে ম্যাচে ফেরান আজমতউল্লাহ ওমরজাই। উসামা মীর ও বিলি স্টেইনলেক মিলে শেষ ২ বলে হোবার্টের ৪ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেননি। বিগ ব্যাশের চ্যাম্পিয়নদের ১ রানে হারিয়ে টানা দুই ম্যাচে জয় পেল বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা। আর একটি ম্যাচ জিততে পারলেই টানা দ্বিতীয় আসরে গ্লোবাল সুপার লিগের ফাইনালে উঠবে রংপুর।
মোমেন্টাম পেয়ে গিয়েছি, পুরো আসরেই দল হিসেবে খেলব: সোহান
১১ জুলাই ২৫
গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ১৫২ রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি হোবার্টের। ইনিংসের প্রথম ওভারেই রংপুরকে উইকেট এনে দেন মেয়ার্স। ডানহাতি মিডিয়াম পেসারের বাউন্সারে এজ হয়ে উইকেটের পেছনে সোহানকে ক্যাচ দেন ভানুকা রাজাপাকশে। শ্রীলঙ্কান ওপেনারকে হারানোর পর দারুণ জুটি গড়ে তোলেন ম্যাকডরমট ও ম্যাক রাইট। তাদের দুজনের ব্যাটেই এগিয়ে যেতে থাকে বিগ ব্যাশের চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাকডরমট ও রাইটের জুটি ভাঙতে পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে খালেদ আহমেদকে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন অধিনায়ক সোহান। বোলিংয়ে এসে প্রথম ওভারেই ম্যাকডরমটের উইকেট তুলে নেন খালেদ। ডানহাতি পেসারের লেংথ ডেলিভারিতে ছক্কা মারতে গিয়ে ডিপ উইকেটে সাইফ হাসানকে ক্যাচ দিয়েছেন ১৯ বলে ৩৪ রান করা হোবার্টের অধিনায়ক। পরের ওভারে প্রথমবার বোলিংয়ে এসে রাইটের উইকেট তুলে নেন ইফতিখার।

নিজের দ্বিতীয় ওভারে পাকিস্তানি অফ স্পিনার ফেরান জেইক দোরানকে। লং অনের উপর দিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারছিলেন না নিখিল চৌধুরি। বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসানের বলে লিডিং এজ হয়ে তাঁরই হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৯ রান করা এই ব্যাটার। ভালো শুরু পেলেও ৮৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে হোবার্ট। যদিও স্মিথ ও নবি মিলে টানা কয়েকটি বাউন্ডারি মিলে বিপর্যয় সামাল দেন।
গ্লোবাল সুপার লিগে রংপুরের হয়ে খেলবেন ওমরজাই
৭ জুলাই ২৫
চার-ছক্কায় অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিদের জয়ের আশা দেখাচ্ছিলেন তারা দুজন। ইনিংসের ১৭তম ওভারে এসে তাদের জুটি ভাঙেন খালেদ। ডানহাতি পেসারের শর্ট অব লেংথ ডেলিভারিতে ছক্কা মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ইব্রাহিমকে ক্যাচ দিয়েছেন ২০ রান করা স্মিথ। ১৯তম ওভারে এসে ফ্যাবিয়েন ও ম্যাকমিলানকে ফেরান খালেদ। টানা দুই ম্যাচেই ৪ উইকেট করে নিলেন তিনি। নবি ৪৪ রানের ইনিংষ খেললেও রংপুরকে জয় এনে দেন আজমতউল্লাহ। রংপুরের হয়ে চারটি উইকেট নিয়েছেন খালেদ।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে জ্বলে উঠতে পারেনি সৌম্য সরকার। ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই ফেরেন বাঁহাতি এই ওপেনার। ফ্যাবিয়েন অ্যালেনের অফ স্টাম্পের লেংথ ডেলিভারিতে ব্যাকফুটে গিয়ে খেলার চেষ্টায় বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন ৫ রানে। তবে অন্য প্রান্তে দ্রুত রান তুলতে থাকেন ইব্রাহিম। আফগান ওপেনারকে অবশ্য হাফ সেঞ্চুরি করতে দেননি উসামা মীর। ডানহাতি লেগ স্পিনারের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে ছক্কা মারার চেষ্টায় টপ এজ হয়ে ক্যাচ দিয়েছেন ফ্যাবিয়েনের হাতে।
৩১ বলে ৪৩ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন ইব্রাহিম। পরবর্তীতে ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি ইয়াসির আলী রাব্বি, সোহান, ওমরজাই ও ইফতিখারের কেউই। তবে দারুণ ব্যাটিংয়ে রংপুরকে একাই টানছিলেন মেয়ার্স। শেষ পর্যন্ত ৩৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটার অপরাজিত ছিলেন ৪২ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলে। হোবার্টের হয়ে উসামা তিনটি ও ফ্যাবিয়েন দুটি উইকেট নিয়েছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রংপুর রাইডার্স— ১৫১/৬ (২০ ওভার) (সৌম্য ৫, ইব্রাহিম ৪৩, মেয়ার্স ৬৭, ইয়াসির ৯, ওমরজাই ১৫; উসামা মীর ৩/১৫)
হোবার্ট হারিকেন্স— ১৫০/১০ (২০ ওভার) (ম্যাকডরমট ৩৪, রাইট ১৪, স্মিথ ২০, নবি ৪৪; খালেদ ৪/২৬, ইফতিখার ২/১৩)