খালেদের তোপে গায়ানাকে হারিয়ে জিএসএল শুরু রংপুরের

ছবি: উইকেট নেয়ার পর খালেদ আহমেদ

সেখান থেকেই ম্যাচের মোমেন্টাম পেয়ে যায় রংপুর। এরপর খালেদ আহমেদ একের পর এক উইকেট নিয়ে শেষ পর্যন্ত রংপুরকে ৮ রানের নাটকীয় জয় এনে দেন। এই পেসার ৩৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে রংপুরের জয়ে বড় অবদান রাখেন। অবশ্য ব্যাট হাতে ১৬২ রান তুলে রংপুরের বোলারদের কাজটা সহজ করে দিয়েছিলেন ব্যাটাররাই।
মোমেন্টাম পেয়ে গিয়েছি, পুরো আসরেই দল হিসেবে খেলব: সোহান
১১ জুলাই ২৫
গায়ানাকে মাঝারি লক্ষ্য দেয়ার পর বল হাতে নেমে শুরুর দিকে কোনো সাফল্য পায়নি রংপুর। প্রথম উইকেট পেতে তাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে চতুর্থ ওভার পর্যন্ত। রংপুরকে ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। তিনি আউট করেছেন ৮ বলে ৮ রান করা রহমানউল্লাহ গুরবাজকে।
এরপর দারুণ এক জুটি গড়ে উইকেটে খুঁটি গেঁড়ে বসেছিলেন চার্লস ও মঈন। ২৮ বলে ৪০ রান করা চার্লসকে ফিরিয়ে ৪৮ রানেই এই জুটি ভাঙেন হারমিত।আর ২৭ রান করা মঈনকে আউট করেন তাবরাইজ শামসি। ওভার দ্য উইকেটে এসে অফ স্টাম্পের বাইরে বল করেছিলেন শামসি।
সেই বল আউট সাইড এজ হয়ে জমা পড়ে নুরুল হাসান সোহানের হাতে। ফলে ফিরে যেতে হয় মঈনকে। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি জোয়েল অ্যান্ড্রু। ইফতিখার আহমেদের ওপর চড়াও হতে গিয়ে লং অফে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন ৯ বলে ১৪ রান করা এই ব্যাটার।
এরপরও হাতখুলে খেলার চেষ্টা করছিলেন শেরফান রাদারফোর্ড। তবে তাকে থামিয়ে দেন খালেদ। এই পেসারের বলে আউট সাইড এজ হয়ে উইকেটের পেছনে সোহানকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১৩ বলে ১৯ রান করা এই ব্যাটার। খানিক বাদে শিমরন হেটমায়ারকে ফিরিয়ে নিজের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন খালেদ।

‘সাকিবরা জানে কিভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়’
৫ ঘন্টা আগে
আর গুড়াকেশ মোতিকে বিদায় করেন শামসি। ইনিংসের ১৯তম ওভারে নিজের কোটা পূরণ করতে এসে খালেদ টানা পরপর দুই বলে তুলে নেন ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস ও শামার স্প্রিঙ্গারের উইকেট। পরের ওভারের প্রথম বলে ডেভিড ভিসেকে বোল্ড করে গায়ানার ইনিংস গুটিয়ে দেন ওমরজাই।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে রংপুরকে শুভ সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকার। ইনিংসের অষ্টম ওভারে সাইফ ও সৌম্যর ওপেনিং জুটি ভাঙেন গুড়াকেশ মোতি। এই বাঁহাতি স্পিনারের বলে কাট করতে চেয়েছিলেন সাইফ। তবে ব্যাটে-বলে করতে পারেননি ঠিকমতো। বল স্কিড করে ঢুকে যায় স্টাম্পে। ফলে ফিরে যেতে হয় ১৮ রান করা সাইফকে।
এরপর সৌম্যকেও ইনিংস বড় করতে দেননি মোতি। এই স্পিনারের ঝুলিয়ে দেয়া বলে মিড উইকেটে শেরফান রাদারফোর্ডের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৩৬ বলে ৩৫ রান করা সৌম্য। এরপর রংপুরের ইনিংসে ধস নামান ইমরান তাহির। তার লেগ ব্রেক বলে বোল্ড হয়ে আউট হন আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
পরের বলে ইয়াসির আলী রাব্বি হয়েছেন এলবিডব্লিউ। ২ বলে ২ উইকেট হারিয়ে তাই বিপর্যয়ে পড়ে যায় রংপুর। এরপর ইনিংস বড় করতে না পারার আক্ষেপে পুড়েছেন নুরুল হাসান সোহান। ঝড়ো শুরু করেছিলেন রংপুর অধিনায়ক। তিনি ১০ বলে ১৮ রান করে শামার স্প্রিঙ্গারের বলে টপ এজ হয়ে শর্ট ফাইন লেগে রাদারফোর্ডের হাতে ক্যাচ দেন। ফলে একশর আগেই ৫ উইকেট হারায় রংপুর।
এরপর শেষদিকে দারুণ এক জুটি গড়ে রংপুরের লড়াইয়ের পুঁজি নিশ্চিত করেন কাইল মেয়ার্স ও ইফতিখার আহমেদ। দুজনই একবার করে জীবন পান। সেই সুযোগ তারা কাজে লাগিয়েছেন বেশ ভালোভাবেই। ষষ্ঠ উইকেটে ৭৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে ইনিংস শেষ করে আসেন তারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
রংপুর রাইডার্স- ১৬২/৫ (২০ ওভার) (সৌম্য ৩৫, সাইফ ১৮, সোহান ১৮, মেয়ার্স ৪৪*, ইফতিখার ৩৪*; তাহির ২/২১, মোতি ২/৩২)
গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স- ১৫৪/১০ (১৯.১ ওভার) (চার্লস ৪০, মঈন ২৭, রাদারফোর্ড ১৯; খালেদ ৪/৩৬, ওমরজাই ২/১৩)