এবারের আইপিএল শুরুর আগে গুজরাট টাইটান্সের অধিনায়ক শুভমান গিল জানিয়েছিলেন যে কোনো ইনিংসে ৩০০ রান হতে পারে। তার কথার সঙ্গে একমত হতে দেখা যায় আইপিএলের কয়েকজন ধারাভাষ্যকারকে। এবার নিয়ে সহমত পোষণ করলেন রিঙ্কু।
তিনি বলেন, '‘ইনিংসে ৩০০ রান তুলতেই পারি আমরা। আইপিএলে যে পর্যায় পৌঁছেছে, তাতে অসম্ভব নয়। গত মরসুমে পঞ্জাব ২৬২ রান তাড়া করেও জিতেছিল। এ বার সব দলই শক্তিশালী। যে কোনও দলই ৩০০ করতে পারে।’
এবারের আইপিএলে সেই অর্থে ছন্দে নেই রিঙ্কু নিজেও। এখন পর্যন্ত আটটি ম্যাচ খেলে ১৩৩ রান করেছেন তিনি। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৩৮। গড় ৩৩.২৫। স্ট্রাইক রেট ১৪৬.১৫। ফিনিশার রিঙ্কু সব ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগ পান না বা সুযোগ পেলেও বেশি বল খেলার সুযোগ থাকে না।
এ নিয়ে আক্ষেপ নেই তার,‘আমি সাধারণত পাঁচ বা ছয় নম্বরেই ব্যাট করি। উত্তরপ্রদেশের হয়েও করি। আইপিএলেও করি। আমি এতে অভ্যস্ত। আইপিএলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ফিটনেস ধরে রাখা। বিভিন্ন শহরে ঘুরে অন্তত ১৪টি ম্যাচ খেলতে হয়। তাই ফিটনেস ধরে রাখাটাও আমার অন্যতম দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।’
এদিকে নিজের দলের অন্যতম সেরা হার্ডহিটার আন্দ্রে রাসেলকেই প্রেরণা হিসেবে মানেন বলে জানিয়েছেন রিঙ্কু। এ ছাড়া চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিও অবদান রেখেছেন তার ক্রিকেটীয় দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে।
রিঙ্কু আরো বলেন, ‘আইপিএল খেলার শুরু থেকেই শেখার চেষ্টা করেছি। আন্দ্রে রাসেলের ব্যাটিং মন দিয়ে দেখতাম। বিশেষ করে শেষ দিকের ওভারগুলোয় কী ভাবে ব্যাট করে, সেটা দেখতাম। শরীরকে কাজে লাগিয়ে শক্তিশালী শটগুলোও দেখতাম। দেখে দেখে রাসেলের খেলা থেকে অনেক কিছু শিখেছি।’
'মাহি ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তিনি বলেছিলেন, ‘মাথা ঠান্ডা রেখে ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলবে। পিচে থিতু হতে পারলে, যেটা চাইবে সেটা সহজে করতে পারবে।’ মাহি ভাইয়ের সেই পরামর্শ মেনেই খেলি।’