রিশাদে মুগ্ধ মালিক, দিলেন নাহিদের যত্ন নেয়ার পরামর্শ

ছবি: রিশাদ হোসেন, শোয়েব মালিক ও নাহিদ রানা

রিশাদকে দারুণ প্রতিভা আখ্যা দিয়েছেন পাকিস্তানের এক সময়ের এই তারকা ক্রিকেটার। এর আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও রিশাদের বল দেখেছেন মালিক। এই লেগ স্পিনার সঠিক পথে থাকতে পারলে দিন দিন আরও অনেক উন্নতি করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মালিক।
‘খেললেই জিম্বাবুয়ে বুঝবে নাহিদ কত গতিতে বল করে’
১৯ এপ্রিল ২৫
পাকিস্তানে ক্রিকফ্রেঞ্জির সঙ্গে আলাপকালে মালিক বলেন, 'রিশাদকে পিএসএলে পেয়ে আমরা গর্বিত। সে ভালো বল করছে। সে ভালো বোলার। আমি তাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ভালো বল করতে দেখেছি। সে বাংলাদেশের ক্রিকেটের দারুণ প্রতিভা। আমি মনে করি সে যদি সঠিক পথে থাকতে পারে তাহলে অনেক আত্মবিশ্বাস পাবে এবং পিএসএলে খেলে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করবে। দিন দিন সে উন্নতি করবে।'

লাহোর কালান্দার্সের হয়ে শুরুতে পিএসএলে খেলার কথা ছিল রশিদ খানের। যদিও পিএসএল ও আইপিএল একই সময়ে হওয়ায় আইপিএলকেই বেঁছে নিয়েছেন আফগানিস্তানের এই তারকা। তার বিকল্প হিসেবে রিশাদকে দলে নেয় লাহোর। দলটিতে রশিদের শূন্যতা বেশ ভালোভাবেই রিশাদ পূরণ করছেন বলে দাবি মালিকের।
তিনি বলেন, 'এটা বলা খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে। তাদের দুজনেরই সামর্থ্য আছে। রশিদ খান অনেক আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে। সে বিশ্ব জুড়ে খেলে। সে ধারাবাহিকভাবে পারফর্মও করে। তাই এটা বলা খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে। রিশাদ ভালো করছে। সে রশিদের না থাকা বেশ ভালো ভাবেই পূরণ করছে। লাহোর কালান্দার্স মিডল ওভারে তার কাছ থেকে উইকেট চায় সে সেটা করতে পারছে। এটা ভালো হয়েছে রশিদ না থাকায় তাকে পাওয়ায়। আমার মনে হয় পিএসএলের কথা বলসে সে তার কাজ করেছে।'
সর্বশেষ পাকিস্তান সফরে গতির ঝড় তুলে আলোচনায় এসেছিলেন বাংলাদেশের পেসার নাহিদ রানা। সেই পারফরম্যান্সের কারণে তাকে দলে নিয়েছে পিএসএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি পেশোয়ার জালমি। কদিন পরেই দলটির সঙ্গে যোগ দেবেন তিনি। মালিক এই পেসারের যত্ন নেয়ার জন্য বিসিবির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। বিশেষ করে যে পেসাররা গতিতে বল করেন তাদের বিশেষ যত্নের প্রয়োজন হয়। মালিক আশাবাদী রিশাদ ও নাহিদ দুজনই বাংলাদেশের হয়ে ভবিষ্যতে অনেক সফল হবেন।
মালিকের ভাষ্য, 'আমি তাকে পিন্ডিতে দেখেছি। সে সত্যিই ভালো করছে। বিশেষ করে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে। তার অনেক প্রতিভা আছে। তার অনেক গতি আছে। তার দায়িত্ব নিজেকে ফিট রাখা। তাহলে সে ভালোভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলতে পারবে। এবং বাংলাদেশের ক্রিকেটে অবদান রাখতে পারবে। বাংলাদেশের তাকে পাওয়া সত্যিই অনেক বড় ব্যাপার। বাংলাদেশের উচিত তাকে দেখে রাখা। পেসাররা বিশেষ করে যারা অনেক গতিতে বল করে তাদের অনেক ওয়ার্কলোড হয় তাদেরকে দেখে রাখতে হয় তাদের পরিকল্পনা করে খেলাতে হয়। দুজনই অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটার। আশা করি তারা বাংলাদেশের হয়ে অনেক সফলতা পাবে।'