১১১ রান করেও চাহালের ঘূর্ণিতে ম্যাচ জিতল পাঞ্জাব

ছবি: ১১১ রান করেও চাহালের ঘূর্ণিতে ম্যাচ জিতল পাঞ্জাব, ফাইল ফটো

স্বল্প লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সাত রান তুলতেই দুই উইকেট হারায় কলকাতা। পাঁচ রান করা সুনীল নারিনকে বোল্ড করেন জানসেন। কুইন্টন ডি কককেও দুই রানের বেশি করতে দেননি জ্যভিয়ার বার্টলেট। এরপর আজিঙ্কা রাহানে এবং অঙ্গক্রিশ রঘুবংশির ব্যাটে খানিকটা এগিয়ে যায় কলকাতা।
আইপিএল শেষ ফার্গুসনের
১৪ এপ্রিল ২৫
দলীয় ৭২ রানের মধ্যে নিজের টানা দুই ওভারে তাদের ফেরান চাহাল। ১৭ রান করা রাহানেকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন তিনি। চাহালকে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন দলীয় সর্বোচ্চ ৩৭ রান করা রঘুবংশি। এরপর প্রায় প্রতি ওভারেই উইকেট হারায় কলকাতা।
ভেঙ্কাটেশ আইয়ারকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (৭)। দুই রান করা রিঙ্কু সিং স্টাম্পিংয়ের শিকার করেন চাহালের বলে। রামানদিপ সিংকেও ফেরান চাহাল। শেষদিকে উইকেটে টিকে আতঙ্ক বাড়াচ্ছিলেন আন্দ্রে রাসেল। যদিও ১১ বলে ১৭ রান করা রাসেলকে বোল্ড করেন জানসেন।

পুরোনো ৩ ক্রিকেটারের পরিকল্পনার কাছেই ধরাশায়ী হয়েছে চেন্নাই
১২ এপ্রিল ২৫
১৫.১ ওভারে মাত্র ৯৫ রানে অলআউট হয়ে যায় দলটি। চাহাল ২৮ রান খরচায় চারটি এবং জানসেন ১৭ রান খরচায় নেন তিনটি উইকেট। এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা আগ্রাসী ভঙ্গিমাতেই করে পাঞ্জাব। যদিও হার্শিত রানার করা ইনিংসের চতুর্থ ওভারে দলটি হারায় দুই উইকেট।
১২ বলে ২২ রান করে প্রভসিমরান সিং ফিরে গেলে ৩৯ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙে। হার্শিততে স্ট্রেইট ফরোয়ার্ডে ফ্লিক করতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন প্রভসিমরান। এক বল পর হার্শিতের শর্ট বলে ডিপ থার্ড অঞ্চলে কাট করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন শ্রেয়াস আইয়ার। নিজের সাবেক দলের বিপক্ষে এ দিন রানের খাতাই খুলতে পারেননি শ্রেয়াস।
পরের ওভারে দুই রান করা জশ ইংলিশকে বোল্ড করেন বরুণ চক্রবর্তী। পাওয়ার প্লে'র শেষ ওভারে প্রভসিমরানকেও বিদায় করেন হার্শিত। তার শর্ট ডেলিভারিতে পয়েন্টে ক্যাচ দেন এই ওপেনার। হার্শিতের বলে তিনটি ক্যাচই নেন রমনদিপ।
পাঞ্জাবের হয়ে দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পেরেছেন আর তিন জন। নেহাল ওয়াধেরা ৯ বলে ১০, শশাঙ্ক সিং ১৭ বলে ১৮ এবং বার্টলেট ১৫ বলে ১১ রান করে দলকে একশ পার করান। কলকাতার হয়ে ২৫ রান খরচায় তিনটি উইকেট নেন হার্শিত। দুটি করে উইকেট নেন বরুণ ও নারিন। একটি করে উইকেট নেন ভৈরব অরোরা এবং অ্যানরিখ নরকিয়া। এই ম্যাচে দুই দলের মোট ১০ জন করে বোলিং করেছেন, প্রত্যেকেই কমপক্ষে একটি করে উইকেট নিয়েছেন।