৪৭২ রানের ম্যাচে ৪ রানে হারল কলকাতা

ছবি: শেষের দিকে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেও কলকাতা নাইট রাইডার্সকে জেতাতে পারেননি রিংকু সিং

কলকাতার অধিনায়ককে দারুণভাবে সঙ্গ দেন ভেঙ্কেটেশ আইয়ার। তবে আচমকটা এক ব্যাটিং ধসে ধুলিস্যাৎ হয়ে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের জয়ের স্বপ্ন। ২ উইকেটে ১৬৬ রান তোলা কলকাতা ১৭৭ রানে যেতেই হারায় ৪ উইকেট। অংক্রিশ রাঘুবংশী, রমনদীপ ও আন্দ্রে রাসেলদের ব্যর্থতার দিনে রিংকু ঝড় তুললেও শেষ পর্যন্ত জেতা হয়নি কলকাতার। ৪ রানের জয়ে পাঁচ ম্যাচের তিনটিতে জিতল লক্ষ্ণৌ।
চোট কাটিয়ে লক্ষ্ণৌ দলে ফিরছেন মায়াঙ্ক
১৪ এপ্রিল ২৫
ইডেন গার্ডেন্সে জয়ের জন্য ২৩৮ রান তাড়ায় ইনিংসের প্রথম ওভারেই ১৬ রান তোলে কলকাতা। যদিও বেশিরভাগ রানই এসেছে অতিরিক্ত খাত থেকে। পরের ওভারে শার্দুল ঠাকুর দিয়েছেন ১৫ রান। ইনিংসের তৃতীয় ওভারটা ডি কক শুরু করেছিলেন আকাশ দীপের বলে ছক্কা মেরে। তবে সেই ওভারের তৃতীয় বলে বাঁহাতি ওপেনারকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন আকাশ। ডানহাতি পেসারের লেংথ ডেলিভারিতে লেগ বিফোর উইকেট হয়ে ফিরেছেন ১৫ রান করা ডি কক।
তিনে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করতে থাকেন রাহানে। সুনীল নারিনের সঙ্গে অধিনায়কের ব্যাটিং ঝড়ে ৪ ওভারেই ৬০ রান তোলে কলকাতা। পাওয়ার প্লের শেষের দুই ওভারেই দ্রুত রান তুলেছেন তারা দুজন। আড়াইশর কাছাকাছি রান তাড়ায় প্রথম ৬ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে ৯০ রান তোলে তারা। আইপিএলের ইতিহাসে পাওয়ার প্লেতে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। এর আগে ২০১৭ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে বিনা উইকেটে ১০৫ রান করেছিল কলকাতা।

সেদিন পাওয়ার প্লেতে ১৬ বলে অপরাজিত ৫৪ রান করেছিলেন নারিন। এদিকে পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ারই বাঁহাতি ব্যাটারকে ফিরিয়েছেন দিগ্বেশ রাঠি। ডানহাতি স্পিনারের অফ স্টাম্পের বাইরের ফুলার ডেলিভারিতে লং অফে এইডেন মার্করামকে ক্যাচ দিয়েছেন ১৩ বলে ৩০ রান করা নারিন। পরবর্তীতে রাহানের সঙ্গে দারুণ জুটি গড়ে তোলেন ভেঙ্কেটেশ আইয়ার। জুটি গড়ার পাশাপাশি দ্রুত রানও তুলেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করতে থাকা রাহানে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ২৬ বলে।
পুরোনো ৩ ক্রিকেটারের পরিকল্পনার কাছেই ধরাশায়ী হয়েছে চেন্নাই
১২ এপ্রিল ২৫
পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর আরও দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় শার্দুলের ফুলটস ডেলিভারিতে এক্সট্রা কভারের উপর দিয়ে খেলতে গিয়ে পুরানের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। কলকাতার অধিনায়ক আউট হয়েছেন ৩৫ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলে। পরের ওভারে আউট রয়েছেন রমনদীপ সিং। সুবিধা করতে পারেননি অংক্রিশ রাঘুবংশীও। পরের ওভারে আউট হয়েছেন আইয়ারও। ২৯ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলা বাঁহাতি ব্যাটারের উইকেট নেন আকাশ। একটা সময় জয়ের পথে থাকলেও ১৩ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে কলকাতা।
ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পরিবর্তে উল্টো শার্দুলের ফুলটস ডেলিভারিতে লং অফে ডেভিড মিলারকে ক্যাচ দিয়ে কলকাতাকে বিপদে ফেলেছেন আন্দ্রে রাসেল। শেষের দিকে হার্শিত রানাকে সঙ্গে নিয়ে চেষ্টা করলেও বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের জেতাতে পারেননি রিংকু। ২৫৩.৩৩ স্ট্রাইক রেটে ১৫ বলে অপরাজিত ৩৮ রানের ইনিংস খেলেছেন। শেষ ওভারে ১৯ রান করার পরও লক্ষ্ণৌর বিপক্ষে ৪ রানে হারতে হয়েছে কলকাতাকে।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে লক্ষ্ণৌকে দারুণ শুরু এনে দেন মিচেল মার্শ ও মার্করাম। উদ্বোধনী জুটিতে তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৯৯ রান। সাউথ আফ্রিকার মার্করামকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন হার্শিত। ডানহাতি পেসারের বলে বোল্ড হয়েছেন ৪৭ রান করা এই ব্যাটার। ৩৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা মার্শ শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন ৪৮ বলে ৮১ রানের ইনিংস খেলে। পরবর্তীতে টর্নেডো ব্যাটিংয়ে ৩৬ বলে অপরাজিত ৮৭ রান করেছেন পুরান। তাদের তিনজনের ব্যাটেই ৩ উইকেটে ২৩৮ রানের পুঁজি পায় লক্ষ্ণৌ।