টানা দুই হার, তবুও আগ্রাসী ক্রিকেটেই ভরসা ভেটরির

ছবি: সানরাইজার্স হায়দরাবাদের প্রধান কোচ ডেনিয়েল ভেটরি

একপ্রান্তে হেড তো অন্য প্রান্তে বোলারদের ভয়ের আরেক নাম অভিষেক শর্মা। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চার-ছক্কা মেরে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিতে পটু তিনি। আইপিএলের গত মৌসুমে ওভারপ্রতি ১৩.২১ রান তুলেছে হেড-অভিষেক জুটি। পাশাপাশি গড়ে প্রায় প্রতি ম্যাচেই ৫০ রান করেছে তাদের জুটি। সেই সঙ্গে হেনরিখ ক্লাসেন ও নীতিশ রেড্ডিকে নিয়ে চার মিলে মেরেছেন ১৩৩ ছক্কা।
স্টার্কের ৫ উইকেট, দিল্লির সহজ জয়
৩০ মার্চ ২৫
আইপিএলের সবশেষ আসর যেখানে শেষ করেছিলেন হেড-অভিষেক কিংবা হায়দরাবাদ এবার শুরু করেছেন সেখান থেকেই। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই হেডের হাফ সেঞ্চুরির সঙ্গে ইশান কিশানের সেঞ্চুরিতে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ২০ ওভারে ২৮৬ রান তোলে হায়দরাবাদ। পরের ম্যাচে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে দুইশর কাছাকাছি পুঁজি পেয়েছিল তারা।
যদিও নিকোলাস পুরানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের সামনে ১৯০ রানের পুঁজি মামুলিই মনে হয়েছে। নিজেদের শেষ ম্যাচে অতি আক্রমণাত্বক হতে গিয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে হায়দরাবাদকে থামতে হয়েছে মাত্র ১৬৩ রানে। জয় দিয়ে আইপিএল শুরু হলেও পরের দুই ম্যাচেই হেরেছে তারা। ইনিংসের প্রথম বল থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ের ধারায় নিয়মিত বিরতিতে দ্রুতই উইকেট হারাচ্ছেন হেড-অভিষেকরা।

যদিও নিজেদের আগ্রসী ব্র্যান্ডের ক্রিকেট থেকে সরে আসতে চান না ডেনিয়েল ভেটরি। হায়দরাবাদের প্রধান কোচ বলেন, ‘এটা নিয়ে (আগ্রাসন কমানো) কোনো আলোচনা হয়নি। আমরা অবশ্যই আগ্রাসী ব্র্যান্ডের ক্রিকেটই খেলতে চাই। আমাদের প্রথম তিন ব্যাটসম্যানের দিকে যদি তাকান, ওরা এভাবেই খেলে। এটাই ওদের সহজাত খেলা এবং আমাদের সুরটা ওরা বেঁধে দেয়।’
‘অভিষেক আজকে ভাগ্যকে পাশে পায়নি। ইশান ও ট্রাভিস যে বলে আউট হয়েছে, অন্য কোনো দিনে হয়তো ছক্কা মারত। আমরা জানি, এভাবে খেলতে গেলে ব্যর্থতাও আসবে। তবে আশা করি, আমরা আবার নিজেদের মেলে ধরব এবং বেশির ভাগ সময় পারফর্ম করব।’
তিন ম্যাচের দুটিতে হেরে যাওয়ায় ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের সাতে রয়েছে হায়দরাবাদ। ৩ এপ্রিল পরের ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ কলকাতা নাইট রাইডার্স। ইডেন গার্ডেন্সে খেলতে যেতে হবে তাদের। এখন পর্যন্ত দুই ম্যাচের একটিতে জয় পেয়েছে কলকাতা।