বিধ্বংসী ব্যাটিং মন্ত্রে হেড-অভিষেকেই ভরসা হায়দরাবাদের

ছবি: ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মাতেই আস্থা সানরাইজার্স হায়দরাবাদের, ফাইল ছবি

একপ্রান্তে হেড তো অন্য প্রান্তে বোলারদের ভয়ের আরেক নাম অভিষেক শর্মা। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চার-ছক্কা মেরে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিতে পটু তিনি। আইপিএলের গত মৌসুমে ওভারপ্রতি ১৩.২১ রান তুলেছে হেড-অভিষেক জুটি। পাশাপাশি গড়ে প্রায় প্রতি ম্যাচেই ৫০ রান করেছে তাদের জুটি। সেই সঙ্গে হেনরিখ ক্লাসেন ও নীতিশ রেড্ডিকে নিয়ে চার মিলে মেরেছেন ১৩৩ ছক্কা।
'ভারত চ্যাম্পিয়ন, রোহিত সেরা ব্যাটার', ক্লার্কের ভবিষ্যদ্বাণী
১৮ ফেব্রুয়ারি ২৫
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ধাঁচ বদলে দেয়া তাদের চার জনের এমন ব্যাটিংয়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের নাম হয়ে উঠেছিল ‘রানরাইজার্স’ হায়দরাবাদ! ২০২৫ আইপিএলেও একই দলের হয়ে খেলবেন তারা চারজন। তাদের সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছেন ইশান কিশান। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে সাত মৌসুম খেলা বাঁহাতি ব্যাটার খেলেন ওপেনিংয়ে। ইশান যোগ দেয়ার পরই আলোচনা শুরু হয় তবে কী হেড-অভিষেক জুটি ভাঙতে যাচ্ছে?
এমন গুঞ্জন কিংবা আলোচনা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন ড্যানিয়েল ভেটরি। হায়দরাবাদের প্রধান কোচ নিশ্চিত করেছেন, গত মৌসুমের মতো এবারও হেড-অভিষেকই ওপেনিং করবেন। এ প্রসঙ্গে ভেটরি বলেন, ‘আমার মনে হয় না আমরা ওপেনিং জুটি ভাঙবো। ইশান তাদের এবং অন্যদের পরিপূরক। সেও প্রায় একই স্টাইলের ব্যাটিং করে।

‘বাঁহাতি এবং সব ধরনের বোলারকেই খেলার সামর্থ্য রাখে। আমরা খুবই ভাগ্যবান তাদের দুজনের সঙ্গে তাকেও স্কোয়াডে যুক্ত করতে পেরেছি। তারপর নীতিশ, ক্লাসেন এবং আমাদের আরও বেশ কয়েকজন তরুণ ক্রিকেটার আছে তারা জায়গা করে নিতে পারে। তাকে আমরা দলের জন্য ভালো একটা সংযোজন হিসেবে দেখছি।’
রাচিনের ব্যাটে মুম্বাইকে হারিয়ে চেন্নাইয়ের শুভসূচনা
৫ ঘন্টা আগে
আইপিএলের গত মৌসুমেই পুরোটা সময় জুড়েই আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে সবার নজর কেড়েছে হায়দরবাদ। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ভরসা করেই সেবার ফাইনালে উঠেছিল তারা। যদিও ফাইনালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সঙ্গে হারতে হয়েছে। আইপিএলের নতুন মৌসুমের দ্বিতীয় দিনেই মাঠে নামছে হায়দরাবাদ, প্রতিপক্ষ রাজস্থান রয়্যালস। সেই ম্যাচের আগে ভেটরি নিশ্চিত করেছেন, যেকোনো মাঠেই তারা আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করবেন।
হায়দরাবাদের প্রধান কোচ বলেন, ‘আমরা যে মাঠেই যাই না কেন আমাদের আমাদের ব্যাটাররা আক্রমণাত্বক ক্রিকেটই খেলবে। একমাত্র পিচই এটাকে একটু প্রশমিত করতে পারে কিন্তু বেশিরভাগ সময়েই আইপিএলের উইকেটে ব্যাটিং বান্ধব। আপনি যখন এই মাঠে আসেন তখন আপনি জানেন আপনার কাছ থেকে কী প্রত্যাশা করে। আপনি জানেন ব্যাটাররা আমাদের বিপক্ষে কীভাবে খেলবে।’