মহসিনের চোটে কপাল খুলতে যাচ্ছে শার্দুলের

ছবি: শার্দুল ঠাকুর (বামে) ও মহসিন খান (ডানে), ফাইল ফটো

বর্তমানে বেঙ্গালুরুর সেন্টার অব এক্সিলেন্সে পুনর্বাসনে আছেন মায়াঙ্ক। আর তাই তাকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে রাজি নয় লক্ষ্ণৌ ফ্র্যাঞ্চাইজি। একশ নয়, দেড়শ ভাগ ফিট হলেই কেবল থাকে খেলাতে চায় লক্ষ্ণৌর ম্যানেজমেন্ট। গত মাসে লক্ষ্নৌর টিম ডিরেক্টরের দায়িত্ব নিয়ে এমনটা জানিয়েছিলেন জহির খান।
আরেক পেসার মহসিনও আছেন বেঙ্গালুরুতে। মায়াঙ্ক ফিট হলে হয়ত মহসিনের বিকল্প খুঁজতে হতো না দলটিকে। কিন্তু দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ পেসার একসঙ্গে চোটে পড়ায় চিন্তার ভাঁজ জমেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির টিম ম্যানেজমেন্টের কপালে। দলটির শিরোপা প্রত্যাশার পরিকল্পনায় এটি নিঃসন্দেহে বড় বাধা।

এ কারণে নিলামে দল না পাওয়া শার্দুলের দিকে চোখ রেখেছে লক্ষ্ণৌ। দলটির প্রথম ম্যাচ ২৪ মার্চ। সময় আছে এখনো তিন দিন। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে এই ম্যাচটি বিশাখাপত্তনমে। শার্দুলকে তাই বিশাখাপত্তনমে যেতে বলা হয়েছে। যদি মহসিন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সুস্থ হতে না পারেন তা হলে সঙ্গে সঙ্গেই শার্দুলকে দলে নেবে লক্ষ্ণৌ। এ কারণে শার্দুলের নাম ঘোষণা করার আগেই তাকে অনুশীলনে ডেকে নিয়েছে তারা।
লক্ষ্নৌর টিম ডিরেক্টর জহির খান অবশ্য পেসারদের ইনজুরি নিয়ে বেশি কিছু বলেননি, 'দলে কয়েকজনের চোট রয়েছে। আমরা ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করছি। পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। কিছু ক্রিকেটার এনসিএ-তে রয়েছে। ফিজ়িওদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছে। এখন তাদের নিয়ে কিছু বলা ঠিক হবে না।'
শার্দুল দলে যোগ দিলে হয়তো দলের পেস আক্রমণকে নেতৃত্ব দেবেন তিনিই। তার সঙ্গে থাকবেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের শামার জোসেফ। লক্ষ্ণৌ দলে তিনিই একমাত্র বিদেশি পেসার। দলে রাজবর্ধন হাঙ্গারেকার এবং প্রিন্স যাদবের মতো তরুণ পেসারেরাও রয়েছেন।