পাওয়েল-রাজার ঝড়ে আইএল টি-টোয়েন্টির চ্যাম্পিয়ন দুবাই ক্যাপিটালস

ছবি: শিরোপা নিয়ে উল্লাস দুবাইয়ের, ফাইল ফটো

আইএল টি-টোয়েন্টি লিগে গ্রুপ পর্বের শীর্ষে থাকা ভাইপার্স ফাইনালের আগে চারটি ম্যাচ হেরেছিল,। এর মাঝে তিনটিই ছিল ক্যাপিটালসের বিপক্ষে। ফাইনালেও তাদের হার মেনে নিতে হলো। টুর্নামেন্টের তিন আসরে এ নিয়ে দুবার রানার্স আপ হলো দলটি।
হাজার উইকেটের মাইলফলক ছুঁতে চান রশিদ
৮ ফেব্রুয়ারি ২৫
দুই ইংলিশ ক্রিকেটার ম্যাক্স হোল্ডেন ও অধিনায়ক স্যাম কারানের ফিফটিতে ২০ ওভারে ১৮৯ রান তোলে ভাইপার্স। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৪ রান তুলতেই দুই উইকেট হারায় দলটি। দুই ওপেনার অ্যালেক্স হেলস এবং রহমানউল্লাহ গুরবাজের দুজনই পাঁচ রানে ফিরে যান। দুজনকেই ফেরান ওবেদ ম্যাকয়।
এরপর দলীয় ৭৫ রানে ড্যান লরেন্স আউট হন ১০ বলে ১০ রান করে। তারপর ম্যাক্স হোল্ডেনের ৫১ বলে ৭৬ এবং স্যাম কারানের ৩৩ বলে ৬২ রানের অপরাজিত ইনিংসে লড়াকু সংগ্রহ পায় ভাইপার্স। ১৩ বলে ২৭ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলেন আজম খান। শেষদিকে ২৯ বলে ৬৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন কারান ও আজম। শেষ ৬ ওভারে ভাইপার্স তোলে ৮১ রান।

১৯০ রান লক্ষ্য তাড়ায় ৩১ রান তুলতেই তিন উইকেট হারায় ক্যাপিটালস। ডেভিড ওয়ার্নার ফিরে যান ৪ রানে। ফর্মে থাকা গুলবাদিন নাইব আউট হন ৫ রানে। অধিনায়ক স্যাম বিলিংস করেন ৬ রান। ৫ ওভার শেষে দলের রান ছিল ৩ উইকেটে ৩১।
তারপর চতুর্থ উইকেটে ৫৩ বলে ৮০ রানের জুটি গড়ে দলকে পথে ফেরান শাই হোপ ও পাওয়েল। হোপ আউট হন ৩৯ বলে ৪৩ রান করে। জয়ের জন্য তখন ৬.৩ ওভারে ৭৯ রান দরকার ছিল ক্যাপিটালসের।
তখনই জ্বলে ওঠেন পাওয়েল। ১০ বলে ২১ রানের মহামূল্যবান একটি ক্যামিও খেলেন দাসুন শানাকা। ম্যাচে শানাকা এক ও পাওয়েল দুই রানে জীবন পান। শেষপর্যন্ত সাতটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৩৮ বলে ৬৩ রান করেন পাওয়েল। দলীয় ১৬৬ রানে পাওয়েল ফেরার পর ম্যাচের পুরো নিয়ন্ত্রণ নেন রাজা। তিনিই দলকে প্রথমবারের শিরোপা জেতান।