এসএ টোয়েন্টিকে দুনিয়ার দ্বিতীয় সেরা লিগ বানাতে চান স্মিথরা

ছবি: এসএ টি-টোয়েন্টি তৃতীয় আসর শুরুর আগে ক্যাপ্টেনস মিটে অধিনায়করা

বিশ্ব জুড়ে ক্রমশই বাড়ছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের চাহিদা। বিশেষ করে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ শুরুর পর থেকে দর্শকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে এসব টুর্নামেন্ট। আইপিএলের দেখানো পথে হেঁটে পর্দা উঠে বিপিএল, সিপিএল, পিএসএল, বিগ ব্যাশ, পিএসএল, মেজর লিগ ক্রিকেট এবং দ্য হান্ড্রেডের মতো টুর্নামেন্ট। বছর তিনেক আগে যাত্রা শুরু করে এসএ ২০ এবং ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টির মতো ২০ ওভারের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট।
সানরাইজার্সকে হারিয়ে প্রথমবার এসএ টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন রশিদের কেপটাউন
৯ ফেব্রুয়ারি ২৫
আইপিএলের কাছাকাছি মডেলে বিপিএল শুরু হওয়ার পর বিসিবি কিংবা বাংলাদেশের সমর্থকদের দাবি ছিল এটিই দুনিয়ার দ্বিতীয় সেরা ক্রিকেট লিগ। তবে এক দশকের ব্যবধানে বিপিএলকে হয়ত সেরা পাঁচেও খুঁজে পাওয়া মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। সিপিএল, বিগ ব্যাশ, পিএসএল, এসএ টি-টোয়েন্টির চ্যালেঞ্জে খাবি খাচ্ছে বিসিবি। বিশ্বের বেশ কয়েকটি দলের মূল চ্যালেঞ্জ আইপিএলের পর নিজেদের দ্বিতীয় সেরা লিগ হিসেবে গড়ে তোলা। সেই পথে বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে এসএ২০।
প্রথম তিন আসরে ক্রিকেটীয় মান কিংবা টাকার ঝনঝনানি আগ্রহ বাড়িয়েছে বিদেশি ক্রিকেটারদের। একটা সময় বিপিএলে নিয়মিত খেলা রশিদ খান, নাভিন উল হক, মুজিব উর রহমান, মঈন আলীরা বেছে নিচ্ছেন এসএ টি-টোয়েন্টিকে। আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিনদের পছন্দের তালিকায় বিপিএলের ওপরে আইএলটি-টোয়েন্টি। চলমান মৌসুমে পার্ল রয়্যালসের হয়ে খেলেছেন দীনেশ কার্তিক। কিছুদিন আগে মহেন্দ্র সিং ধোনিকেও চেয়েছিলেন স্মিথ।

যদিও বিসিসিআইয়ের নিয়মে না থাকায় ধোনিকে পাওয়ার আশা পূরণ হয়নি সাউথ আফ্রিকার। এমন একটা টুর্নামেন্ট আয়োজনে টি-টোয়েন্টির প্রতি আগ্রহ বাড়ছে দেশটির সমর্থকদের। যদিও টেস্টের চেয়ে এসএ টি-টোয়েন্টিকে বেশি প্রাধান্য দেয়ার অভিযোগও আছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের উপর। যদিও সব ছাপিয়ে আইপিএলের পর নিজেদেরকে সেরা বানাতে বদ্ধপরিকর ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগটির কমিশনার।
পিএসএলকে ‘বুড়ো আঙুল’ দেখিয়ে আইপিএলে খেলবেন বশ
৮ মার্চ ২৫
নিউজ ১৮-কে দেয়া সাক্ষাৎকারে স্মিথ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ভারতের বাইরে সবচেয়ে বড় লিগ হওয়া। আমার মনে হয় মানুষ আমাদের নিয়ে কথা বলছে। আমরা এমন একটা লিগ হয়ে উঠতে চাই যাতে খেলোয়াড়দের পছন্দের তালিকায় সবার উপরে থাকে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাররা এখানে খেলতে আসে কারণ এখানে খেলাটা কঠিন, আমাদের উইন্ডো, এটা প্রতিযোগিতামূলক, আমাদের সমর্থক এবং গ্রীষ্মে খেলাটা দারুণ অনুভূতি। এগুলো যদি ঠিকঠাক জায়গায় করা যায় তাহলে আমাদেরকে আরও সামনে এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে।’
এসএ টি-টোয়েন্টি লিগের বড় হয়ে ওঠার পেছনে বড় অবদান রাখছে ভারত। ছয় দলের টুর্নামেন্ট সবগুলো ফ্র্যাঞ্চাইজি আইপিএল ভিত্তিক। চেন্নাই সুপার কিংস, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, রাজস্থান রয়্যালস এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের মালিকরা এসএ টি-টোয়েন্টিতে বিনিয়োগ করেছেন এবং ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা নিয়েছেন। স্মিথ নিজেও জানিয়েছেন, বিসিসিআইয়ের সঙ্গে তাদের ভালো সম্পর্ক আছে এবং ভারত তাদেরকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছে।
স্মিথ বলেন, ‘আমরা বড় হয়ে উঠতে চাই। আমি যেটা বলতে চেয়েছি আইপিএল সবার উপরে। আমরা খুবই ভাগ্যবান যে বিসিসিআইয়ের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক আছে। আমরা যখন এসএ ২০ শুরু করি তখন তারা আমাদের দারুণভাবে সহায়তা করেছে। আমার মনে হয় আমাদের ভাবনাটা এমন প্রতি বছর কিভাবে আরও ভালো করতে পারি।’