দলের কথা ভাবতে গিয়েই চাপে সৌম্য সরকার

ছবি:

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এবারের আসরে সময়টা একেবারেই ভালো যায়নি টাইগার ওপেনার সৌম্য সরকারের। ১১ ইনিংস ব্যাটিং করে মাত্র ১৬৯ রান করেছেন তিনি। এই বাঁহাতির ব্যাটিং গড় ১৫.৩৬। স্ট্রাইক রেটটাও টি-২০ সুলভ নয়। মাত্র ৯৮.২৫। অর্ধশতক নেই একটিও।
বেশ কিছু ম্যাচেই ৩০ কিংবা তার আশেপাশে গিয়েই আউট হয়েছেন সৌম্য সরকার। এমনকি বিপিএল শেষে জাতীয় লিগে ব্যাট হাতে নেমেও ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছেন এই হার্ডহিটার। ৩০ কোটাতে গিয়েই খেই হারাচ্ছেন এই ড্যাশিং ওপেনার। ব্যাট হাতে এমন পর্যায়ে গিয়েই কি সমস্যা হচ্ছে তা বলতে পারছেন না সৌম্য নিজেও।
৩০ রানের আশেপাশে গিয়ে আগ্রাসী ব্যাটিং করবেন নাকি ধরে খেলবেন সেটাই বুঝে উঠতে পারছেন না এই সম্ভাবনাময় ক্রিকেটার। এর ফল স্বরূপ আউট হচ্ছেন। এই সমস্যা ভাবাচ্ছে সৌম্যকেও। এই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসতে প্রাণপণ চেষ্টা করছেন তিনি। বিপিএল শেষে জাতীয় দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড় যখন বিশ্রামে। সেই সময় সৌম্য, ব্যাট প্যাড নিয়ে দীর্ঘ অনুশীলনে ব্যস্ত।

এই প্রসঙ্গে সৌম্য জানিয়েছেন, ‘অনেকের শুরু থেকেই সমস্যা হয়। আমার হয়তবা ৩০ রানের পর। আমার যেটা হচ্ছে নিশ্চিতভাবে বলতে পারব না। একেকদিন একেকভাবে আউট হচ্ছি। হয়ত পরিকল্পনা বদল করতে যেয়ে। হয়ত নিজেই চিন্তা করছি ৩০ হয়ে গেছে। এরকম কোন কিছু কিনা আসলে বের করতে হবে। অবশ্যই ভুল থেকেই শিক্ষা আসবে।’
সৌম্যর মতে স্বার্থপরভাবে ক্রিকেট খেললে হয়তো নিজের ইনিংস লম্বা করতে পারবেন তিনি। তবে, দলের কথা চিন্তা করতে গিয়েই ব্যাটিং করতে সমস্যা হচ্ছে তার। ৩০ এর আশেপাশে গিয়ে সৌম্য ধীরে খেললে দল চাপে পড়ে যেতে পারে। তাই আগ্রাসী খেলাটা ধরে রাখেন।
সৌম্যর ভাষ্যমতে, ‘দলের কথা চিন্তা করতে হচ্ছে। ওই সময় যদি আমি স্লো হয়ে যাই দলের পজিশনও স্লো হয়ে যাবে। আমি কেবল নিজের জন্য খেললে হয়ত এখান থেকে ওভারকাম করা সম্ভব। কিন্তু দলের চিন্তা করে খেললে একটু কঠিন হয়ে যায়। ৩০ রান করার পর যদি আমি স্লো হয়ে যাই তাহলে দলে প্রভাব আসতে পারে।’
এই টাইগার ওপেনার মনে করেন তার ৩০-৪০ রানের ইনিংসগুলো একটু বড় করতে পারলেই সবার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যাবে, ‘সমস্যাটা হচ্ছে ৩০-৪০ রানে। আমি যদি দিনশেষে ৩০-৪০ গুলা ৫০ করে আউট হতাম তাহলে সবাই বলত সৌম্য ফর্মে আছে। ৩০-৪০ এ আউট হয়ে যাওয়ায় সবাই বলছে যে সে সেট হয়ে আউট হয়ে যাচ্ছে। চেষ্টা থাকবে এর থেকে বেড়িয়ে আসতে।’