রাকিবুলের ৯ উইকেট, সৈকতের ১৭৫
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আগের দিনের ৫ উইকেটে ১৯৮ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন রেজাউর রহমান রাজা ও তোফায়েল। সকালের শুরুটা বেশ ভালোভাবে পার করেছেন দুজন। ৮৭ বলে ৩১ রান করা রাজাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন রাকিবুল। পরবর্তীতে ব্যাটিংয়ে নামেন সৈকত। সাবধানী ব্যাটিংয়ে ১২১ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন তোফায়েল। ডানহাতি ব্যাটারের বিদায়ে ভাঙে সৈকতের সঙ্গে পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি। ১৬১ বরে ৭৯ রানের ইনিংস খেলে রাকিবুলের বলে আউট হয়েছেন তিনি।
তোফায়েল ফেরার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সৈয়দ খালেদ আহমেদও। ১৪ বলে ১১ রান করে ফিরতে হয়েছে তাকে। তবে ইবাদতকে সঙ্গে নিয়ে দুর্দান্ত জুটি গড়েন সৈকত। একপ্রান্ত আগলে ১৭৮ বলে সেঞ্চুরি করেছেন ডানহাতি এই ওপেনার। দেড়শ ছুঁয়েছেন ২০৫ বলে। একটু পর হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন ইবাদতও। ৯০ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন তিনি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এবারই প্রথম হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন তিনি।
ডাবল সেঞ্চুরির পাওয়ার পথে থাকলেও শহিদুল ইসলামের বলে মাহফিজুল ইসলাম রবিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেলেন ১৭৫ রানের ইনিংস খেলা সৈকত। ইবাদত আউট হয়েছেন ৫৮ রানে। শেষ পর্যন্ত ৪৮৯ রান তুলে অল আউট হয় সিলেট বিভাগ। সৈকতের ওমন ইনিংসের দিনে বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন রাকিবুল। ১৬৮ রানে ইনিংসে ৯ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি এই স্পিনার। আব্দুর রাজ্জাক ও মোশারফ হোসেনের পর তৃতীয় বোলার হিসেবে এনসিএলে এক ইনিংসে ৯ উইকেট নিয়েছেন রাকিবুল।
২০১২ সালের পর ২০১৪ সালেও ৯ উইকেট নিয়েছিলেন রাজ্জাক। ২০০৫ সালে মোশারফ ৯ উইকেট নিয়েছিলেন বরিশাল বিভাগের হয়ে। তবে বাংলাদেশের মাটিতে হওয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৯ উইকেট নেয়ার ষষ্ঠ কীর্তি এটি। তাদের বাইরে বিসিএলে সানজামুল ইসলাম ও বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে ৯ উইকেট নিয়েছেন সাকলাইন সজিব। শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমে বিনা উইকেটে ৫৮ রান তুলেছে ময়মনসিংহ বিভাগ। মাহফিজুল ৩০ এবং নাইম শেখ অপরাজিত ১৯ রানে।
সেঞ্চুরির অপেক্ষায় জিসান
আগের দিনের ৮ উইকেটে ৩০৮ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন নাইম ইসলাম ও রবিউল হক। সকালের শুরুতে কয়েক ওভার পরই জুটি ভাঙে তাদের। ৩৯ বলে ২০ রান করে আউট হয়েছেন রবিউল। একটু পর ফিরেছেন মেহেদী হাসানও। তবে অন্যপ্রান্তে ২৬৯ বলে ১৩৭ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন নাইম। ৪১৬ মিনিটের ইনিংসে ১৯টি চার মেরেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। রংপুরের ৩৫৮ রানে অল আউট হওয়ার দিনে ঢাকার হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন রিপন মণ্ডল ও তাইবুর রহমান। প্রথম ইনিংসে ১৩৭ রানের লিড পায় ঢাকা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে সাদমান ইসলাম ও রনি তালুকদারের ব্যাটে ভালো শুরু পায় ঢাকা। তাদের দুজনের ব্যাটে জুটির পঞ্চাশ ছাড়িয়ে যায় তারা। সাদমান ও রনির ৭২ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন আলাউদ্দিন বাবু। ডানহাতি মিডিয়াম পেসারের বলে বোল্ড হয়েছেন ৫৭ বলে ৩৭ রান করা সাদমান। পঞ্চাশ ছোঁয়ার আগে আউট হয়েছেন ৪২ রান করা রনিও। পরবর্তীতে ১২৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন জিসান আলম ও আশিকুর রহমান শিবলি। ৮৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি জিসান অপরাজিত আছেন ৮০ রানে। আশিকুর ব্যাটিং করছেন ৪৬ রানে। তৃতীয় দিন শেষে ২ উইকেট ২১২ রান তুলেছে তারা।