বয়কট করা ক্লাবগুলোর সঙ্গে কাল আলোচনায় বসছে কোয়াব

ঘরোয়া
বয়কট করা ক্লাবগুলোর সঙ্গে কাল আলোচনায় বসছে কোয়াব
মোহাম্মদ মিঠুন, ক্রিকফ্রেঞ্জি
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
সরকারি হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন ২১ জন প্রার্থী। পরবর্তীতে নির্বাচন না পেছালে বাংলাদেশের সব ধরনের ক্রিকেট বর্জনের ঘোষণা ঢাকার দেয় ক্লাবগুলোর একাংশ। স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচন না পেছানোয় নিজেদের অবস্থানে এখনো অনড় ক্লাবগুলো। যার ফলে সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো মাঠে গড়াচ্ছে না তৃতীয় বিভাগ লিগ। এমন অবস্থায় বয়কট করা ক্লাবগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাচ্ছে ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়শন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) সভাপতি মোহাম্মদ মিঠুন। ক্লাবগুলোর কাছে ইতিবাচক উত্তর প্রত্যাশা করছেন তিনি।

অক্টোবরের দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো মাঠে গড়ায়নি তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগ। কবে নাগাদ শুরু হবে সেটার নিশ্চয়তাও দিতে পারেনি ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম)। প্রথম বিভাগ কিংবা দ্বিতীয় বিভাগ কবে শুরু হবে সেটাও বলতে পারছে না কেউই। শুধু প্রথম, দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগই নয় আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে হতে যাওয়া ডিপিএল নিয়েও আছে সংশয়।

লিগ বর্জন করা ৪৮ ক্লাবের মধ্যে আছে আবাহনী লিমিটেড, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও শাইনপুকুরের মতো বড় ক্লাবগুলো। বিসিবি ও ক্লাবের এমন জটিলতায় অনিশ্চয়তা ক্রিকেটাররা। কারণ লিগের মাস চারেক বাকি থাকলেও কোনো ক্রিকেটারের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি কোনো ক্লাব। এমন পরিস্থিতিতে ক্রিকেটারদের জন্য এগিয়ে এসেছে কোয়াব। ক্রিকেটারদের সংগঠনের সভাপতি মিঠুন জানান, ১৯ অক্টোবর তারা ক্লাবগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।

এ প্রসঙ্গে ক্রিকফ্রেঞ্জিকে মিঠুন বলেন, ‘আপনারা জানেন বোর্ডের সঙ্গে ক্লাবগুলোর কিছুদিন ধরে একটা বিষয় নিয়ে ঝামেলা চলছে। ওই বিষয়ে আমরা কোনো কথা বলতে চাই না। কিন্তু কোয়াব থেকে চেষ্টা করছিলাম ক্লাবগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে যাতে খেলাটা বন্ধ না হয়, খেলাটা যেন মাঠে থাকে। উনারা আমাদেরকে পজিটিভ রেসপন্স করেছে। আমরা বেশকিছুদিন ধরে আলোচনা করছিলাম। শেষ পর্যন্ত আজকে একটা সুখবর এসেছে, উনারা আমাদের সঙ্গে বসতে চাচ্ছেন। হয়তবা কালকে অথবা দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা উনাদের সঙ্গে একটা আলোচনা করব। আশা করছি উনাদের কাছ থেকে একটা পজিটিভ রেসপন্স পাবো।’

জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস ডিপিএল। ওই উপার্জন দিয়েই নিজেদের পরিবার চালিয়ে থাকেন। তৃতীয় বিভাগ কোয়ালিফাইং থেকে শুরু করে ডিপিএল খেলা ক্রিকেটারদের উপর নির্ভর করে প্রায় হাজার দুয়েক পরিবার। ডিপিএলে খেলা ক্রিকেটার অবশ্য ৫০ ওভারের টুর্নামেন্ট না হলেও বিপিএল, এনসিএল, এনসিএল টি-টোয়েন্টির মতো টুর্নামেন্ট খেলে পরিবার চালাতে পারেন। তবে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগে খেলা ক্রিকেটারদের অবশ্য অন্য কোনো বিকল্প নেই।

এসব ভাবনা থেকেই ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছে কোয়াব। মিঠুন বলেন, ‘দেখুন— আমাদের ভাবনাটা হচ্ছে ঢাকা ক্রিকেট লিগের সঙ্গে প্রায় ২ হাজার পরিবার জড়িতে। এখানে কোয়ালিফাইং থেকে শুরু করে প্রিমিয়ার লিগ পর্যন্ত অনেক খেলোয়াড় আছে। এটা কিন্তু আমাদের আয়ের একটা মূল উৎস। গত বছরও দেখেছেন দেশের পরিস্থিতির কারণে খেলোয়াড়রা কষ্ট করেছে। খেলোয়াড়রা তাদের পরিবার চালানো, জীবন চালানো নিয়ে স্ট্রাগল করেছে। এ বছরও যদি এমন কিছু হয় তাহলে এখান থেকে করে হওয়া আমাদের জন্য কঠিন হবে।

‘ওই চিন্তা থেকেই আমরা ক্লাবের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। উনাদেরকে অনুরোধ করেছিলাম আমরা উনাদের সঙ্গে আলোচনা করতে চাই। ধন্যবাদ উনারা আমাদের পজিটিভ রেসপন্স করেছে এবং কালকে বসার তারিখ দিয়েছে। জিনিসটা হচ্ছে যেকোনো সমস্যার কারণে খেলোয়াড়রা তো সাফার করতে পারে না। ওই ভাবনাটা থেকেই এমন পদক্ষেপ নেয়া। আমি মনে করি এটা আমাদের দায়িত্ব, ওই দায়িত্ব থেকেই কাজটা করা।’

আরো পড়ুন: মোহাম্মদ মিঠুন