সবশেষ কয়েক বছরে এনসিএলে ভালো করতে পারেননি বরিশাল। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের পাশাপাশি টুর্নামেন্টের টি-টোয়েন্টি সংস্করণেও প্রত্যাশা মেটাতে পারেনি তাদের পারফরম্যান্স। চলতি এনসিএল টি-টোয়েন্টি শুরু আগের সিনিয়র ক্রিকেটারদের মধ্যকার দ্বন্দ্বও সামনে এসেছে। যদিও সেসব মিটিয়ে বরিশালের হয়ে খেলতে নামছেন সোহাগ গাজী, ফজলে রাব্বিরা। তবে অন্যান্য দলের মতো বড় মানের তারকা নেই তাদের।
এমন তারকাবিহীন দলকে নিয়ে বড় কিছুর স্বপ্ন দেখছেন আশরাফুল। পাশাপাশি এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেও নিচ্ছেন তিনি। বরিশালের প্রধান কোচ বলেন, ‘আমি এটাকে একটা হিসেবে নিয়েছি। হ্যাঁ, আমাদের দলে হয়ত তারকা ক্রিকেটার নাই, অন্যান্য দলে যেমন আছে। বরিশালের হয়ে সোহাগ গাজী আমাদের সবচেয়ে বড় সুপারস্টার। তানভীরও ওয়ানডে দলে নিয়মিত খেলে। সেও ঘরোয়া ক্রিকেটের সুপারস্টার। ফজলে রাব্বি অনেক অভিজ্ঞ, সেও বাংলাদেশের হয়ে খেলেছে। এখন পর্যন্ত এই তিনজন আছে যারা বাংলাদেশের হয়ে খেলেছে বা খেলছে। বাকি যারা আছে আমি মনে করি সবাই প্রতিভাবান।’
পেস বোলিংয়ে বরিশালকে নেতৃত্ব দেবেন ইয়াসিন আরাফাত, রুয়েল মিয়া, মেহেদী হাসানরা। স্পিনে তানভীরের সঙ্গে আছেন মইনুল ইসলাম, সোহাগ গাজীরা। সিনিয়রদের পাশাপাশি তরুণদের নিয়েও বেশ আশাবাদী আশরাফুল। বরিশালের প্রধান কোচ জানান, দলে তারকা খেলোয়াড় না থাকলেও তাদের বেশিরভাগই কঠোর পরিশ্রমী। তাঁর বিশ্বাস ক্রিকেটাররা সবাই সুযোগের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
আশরাফুল বলেন, ‘পেস বোলিং ইউনিটে মিশু আছে। মেহেদী হাসান— সে এইচপির একজন পেসার। রুয়েল পাঁচ বছর ধরে নিয়মিত বরিশালের হয়ে খেলছে। মইন খানও গত ২-৩ বছর ধরে ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করছে। আমি মনে করি দলটা ভালো। তারকা খেলোয়াড় নাই কিন্তু যারা আছে তারা কঠোর পরিশ্রমী এবং টপ লেভেলে পারফর্ম করতে চাচ্ছে। এই সুযোগের জন্য তারা অপেক্ষা করেছে।’
সিনিয়র ও তারুণ্যের মিশেলে গড়া দল হলেও আশরাফুলের বাজি সোহাগ গাজীকে নিয়ে। তিনি বলেন, ‘সোহাগ গাজীর কাছ থেকে আমি আশা করব...সে এক্সট্রাঅর্ডিনারি খেলোয়াড়। সে যেদিন খেলে একাই ম্যাচ জেতাতে পারে। তাঁর মধ্যে এই কোয়ালিটি আছে। ৬ ম্যাচের মধ্যে যদি অন্তত ২-৩টা ম্যাচে তার কাছ থেকে আমরা ম্যাচ উইনিং পারফরম্যান্স পাই আমি এটাতে খুশি থাকব, ইনশাআল্লাহ।’