শরিফুলের ৬ উইকেটে সুপার লিগে রূপগঞ্জ

ছবি: ৪০ রানে ৬ উইকেট নিয়ে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে জেতালেন শরিফুল ইসলাম, ক্রিকফ্রেঞ্জি

২৭৭ রান তাড়ায় শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। একপ্রান্তে উইকেট হারালেও অন্যপ্রান্তে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন মাহফিজুল ইসলাম রবিন। সাবধানী ব্যাটিংয়ে পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরিও। তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দিয়েছেন আইচ মোল্লাও। ৩২ বলে ৪৬ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেছেন মাইশুকুর রহমানও। তবে পেসার শরিফুল ইসলামের ৪০ রানে ৬ উইকেটের বোলিংয়ে জিততে পারেনি ব্রাদার্স। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ব্রাদার্সকে ১০ রানে হারিয়ে ডিপিএলের সুপার লিগ নিশ্চিত করেছে রূপগঞ্জ।
চিটাগংয়ের কাছে এখনও ৫০ শতাংশ পারিশ্রমিক পাওনা শরিফুল-ইমনদের
১৪ মার্চ ২৫
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ২৭৭ রান তাড়ায় তৃতীয় ওভারেই বিশাল চৌধুরির উইকেট হারায় ব্রাদার্স। একই ওভারে মিজানুর রহমানকেও ফিরিয়েছেন শরিফুল। এক ওভারে দুই উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ে তোলেন মাহফিজুল ও আইচ। তারা দুজনে মিলে ব্রাদার্সকে পথ দেখাতে থাকেন। তবে তাদের দুজনের জুটি ভেঙেছেন শরিফুল। বাঁহাতি পেসারের বলে তানজিদ হাসান তামিমের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন আইচ।

দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা তরুণ আইচ আউট হয়েছেন ৭৩ বলে ৪৭ রানের ইনিংস খেলে। জাহিদুজ্জামান খানও মাহফিজুলকে সঙ্গে দিয়েছেন। ২৮ রান করা জাহিদুজ্জামানকে ফিরিয়ে তাদের দুজনের ৪৩ রানের জুটি ভাঙেন তানজিম হাসান সাকিব। লম্বা সময় উইকেটে থাকা মাহফিজুল আউট হয়েছেন ৭৬ রানে, শেখ মেহেদীর দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে। পরবর্তীতে সমান তিনটি করে ছক্কা ও চার মেরে ৪৬ রানের ইনিংস খেলে ব্রাদার্সকে স্বপ্ন দেখাতে থাকেন মাইশুকুর।
অগ্রণীর বিপক্ষে হেরেও সুপার লিগে রূপগঞ্জ
১৭ ঘন্টা আগে
যদিও ম্যাচ শেষ করে আসতে পারেননি। শেষের দিকে ২৫ বলে অপরাজিত ৩৪ রান করে ব্রাদার্সকে সঠিক পথেই রেখেছিলেন সুমন খান। তবে ৪৮.৪ ওভারের সময় হানা দেয় বৃষ্টি। পরবর্তীতে খেলা চালিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব না হওয়ায় বৃষ্টি আইনে ১০ রানে ম্যাচ জিতে নেয় রূপগঞ্জ। দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১০ ওভারে এক মেডেনসহ ৪০ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন শরিফুল। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে বাঁহাতি পেসারের এটিই প্রথম পাঁচ উইকেট।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৫০ ওভারে ২৭৭ রান তোলে রূপগঞ্জ। দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও তানজিদ তামিম সুবিধা করতে না পারলেও তৃতীয় উইকেটে পথ দেখিয়েছেন সৌম্য ও জয়। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৯৭ রান। সেঞ্চুরির পথে হাঁটতে থাকা সৌম্য ৮০ রানে ফিরলে ভাঙে জুটি। হাফ সেঞ্চুরিয়ান জয় আউট হয়েছেন ৫৫ বলে ৫৯ রানে। শেষের দিকে জাকেরের ৪৪, সামিউন বাশির রাতুলের ২৫ রানে তিনশর কাছাকাছি পুঁজি পায় তারা। রূপগঞ্জের ২৭৭ রানের দিনে ব্রাদার্সের হয়ে তিনটি উইকেট পেয়েছেন ইয়াসিন আরাফাত মিশু।