পারভেজ ইমনের সেঞ্চুরি, জিতেই চলেছে আবাহনী

ছবি: সেঞ্চুরি করে আবাহনীকে জেতালেন পারভেজ হোসেন ইমন, ক্রিকফ্রেঞ্জি

মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ২০২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় পারভেজ ইমন ও জিসানের ব্যাটে ভালো শুরুই পায় আবাহনী। পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়েই ৫৫ রান তোলেন তারা দুজন। যদিও পাওয়ার প্লে শেষ হতেই উইকেট হারায় দলটি। আনামুল হক আনামের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন জিসান। ২৬ বলে ১৮ রান করা ডানহাতি ওপেনার ফিরলে ভাঙে পারভেজ ইমনের সঙ্গে তার ৫৭ রানের উদ্বোধনী জুটি।
চিটাগংয়ের কাছে এখনও ৫০ শতাংশ পারিশ্রমিক পাওনা শরিফুল-ইমনদের
১৪ মার্চ ২৫
তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্তও। ৫ বলে ২ রান করা আবাহনীর অধিনায়কের উইকেটও নিয়েছেন স্পিনার আনামুল। দারুণ ছন্দে থাকলেও ধানমন্ডির সঙ্গে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি মোহাম্মদ মিঠুন, মুমিনুল হকরা। পরবর্তীতে মোসাদ্দেককে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়ে তোলেন পারভেজ ইমন। পাশাপাশি দাপুটে ব্যাটিংয়ে ৫৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন বাঁহাতি এই ওপেনার।

পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর একই ধাঁচে রান তুলতে থাকেন পারভেজ ইমন। ১২ চার ও তিন ছক্কায় ১১৭ বলে সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। ডিপিএলের চলতি আসরে তরুণ এই ব্যাটারের এটি দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। এ ছাড়া দুটি হাফ সেঞ্চুরিও আছে তার। মিডল অর্ডারের ধসের ধাক্কা সামলে মোসাদ্দেকের সঙ্গে ১১৯ বলে একশ রানের জুটিও গড়েছেন পারভেজ ইমন। একটু পর হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন মোসাদ্দেক।
গাজী ক্রিকেটার্সকে হারিয়ে আবাহনীর সাতে ছয়
২১ মার্চ ২৫
সমান তিনটি করে চার ও ছক্কায় ৬০ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। হাফ সেঞ্চুরির পর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। আনামুলকে উড়িয়ে মারার চেষ্টায় ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়েছেন ৬৪ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলা মোসাদ্দেক। তবে অপরাজিত ১২৪ রানের ইনিংস খেলে আবাহনীর জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছেড়েছেন পারভেজ ইমন। ধানমন্ডির হয়ে চারটি উইকেট নিয়েছেন স্পিনার আনামুল।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ধানমন্ডি। একপ্রান্ত অবশ্য আগলে রেখেছিলেন ফজলে মাহমুদ রাব্বি। বাঁহাতি ব্যাটারই দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১২৬ বলে ৮৭ রানের ইনিংস খেলেছেন। এ ছাড়া ৬৫ বলে ৫৭ রান করেছেন জিয়াউর রহমান। আবাহনীর হয়ে চারটি করে উইকেট নিয়েছেন নাহিদ ও রাকিবুল।