promotional_ad

সোহানের লড়াকু সেঞ্চুরি ম্লান করে জিতল মোহামেডান

সেঞ্চুরি করেও ধানমন্ডিকে জেতাতে পারলেন না নুরুল হাসান সোহান, ক্রিকফ্রেঞ্জি
মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট ডেলিভারিতে এক্সট্রা কভারের উপর দিয়ে হাওয়ায় ভাসিয়ে ছক্কা মারলেন নুরুল হাসান সোহান। তখন সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৬ রান দূরে ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাবের অধিনায়ক। সাইফউদ্দিন পরের ডেলিভারিটাও করলেন একই জায়গায়, সোহানও খেললেন একই শট। ৯২ বলে পেয়েছেন ডিপিএলের আসরে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।

promotional_ad

ধানমন্ডির বাকি ব্যাটাররা যেখানে দাঁড়াতেই পারছিলেন না সেখানে একাই লড়াই করে গেছেন সোহান। ডানহাতি ব্যাটারকে আউট করতেই যে ফাঁদটা সাইফউদ্দিন পেতেছিলেন সেটা কাজে দিয়েছে ওভারে তৃতীয় বলে। ডানহাতি মিডিয়াম পেসারের এবারের শর্ট ডেলিভারিটা ছিল একটু ভেতরে এবং খানিকটা স্লোয়ার। সাইফউদ্দিনের স্লোয়ার ডেলিভারিটা ঠিকঠাক বুঝে উঠতে পারেননি সোহান। আলগা করে মিড উইকেট ও লং অনের মাঝখান দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন তিনি। 


আরো পড়ুন

দল না জিতলে সেঞ্চুরি মূল্যহীন: সোহান

৫ ঘন্টা আগে
সেঞ্চুরির পর সোহান, ক্রিকফ্রেঞ্জি

ব্যাটে-বলে হলেও টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়ায় তাওহীদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। ৭৯ রানে ৬ উইকেট হারানো ধানমন্ডিকে জয়ের স্বপ্ন দেখালেও সেটা পূরণ করতে পারেননি সোহান। মাসুম খান টুটুল, হাসান মুরাদ ও আনামুল হকদের নিয়ে লড়াই করলেও জেতাতে পারেননি দলকে। অধিনায়ক সোহানের সেঞ্চুরির পরও ধানমন্ডি হেরেছে ২৩ রানে। তারকায় ঠাসা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের এটি পঞ্চম জয়।


মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ২১৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ধানমন্ডিকে ভালো শুরুর আভাসই দিয়েছিলেন হাবিবুর রহমান সোহান। ব্যাট হাতে ঝড় তোলা ডানহাতি ওপেনারকে অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে দেননি তাসকিন আহমেদ। ডানহাতি পেসারের লেংথ ডেলিভারিতে ডিপ মিড উইকেটের উপর দিয়ে খেলার চেষ্টায় আবু হায়দার রনির হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ১৬ বলে ৩১ রান করা হাবিবুর সোহান।


একই ওভারে ফজলে মাহমুদ রাব্বির উইকেটও নিয়েছেন তাসকিন। পরের ওভারে সানজামুল ইসলামকে ফিরিয়েছেন আবু হায়দার। দলের প্রয়োজনে হাল ধরতে পারেননি ইয়াসির আলী রাব্বিও। তাইজুল ইসলামের বলে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ১৪ রান করা এই ব্যাটার। পরের ওভারে আউট হয়েছেন মইন খানও। ব্যাট হাতে ব্যর্থতার পাল্লা ভারী করেছেন জিয়াউর রহমানও। ৭৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে হারের প্রহর গুনছিল ধানমন্ডি। 


এমন সময় টুটুলকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন সোহান। টুটুলকে সঙ্গে নিয়ে ৩৮ রান যোগ করেন তিনি। নাসুমের বলে মিরাজের অবিশ্বাস্য ক্যাচে ফিরেছেন ১৮ রান করা টুটুল। দারুণ ব্যাটিংয়ে একটু পর হাফ সেঞ্চুরি করেছেন অধিনায়ক। মুরাদ, আনামুলরা ফিরলেও ৯২ বলে সেঞ্চুরি করেন সোহান। তবে একশ ছোঁয়ার পরের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন ১০০ রানে। ধানমন্ডিকে ১৯৩ রানে অল আউট হলে ম্যাচ জিতে নেয় মোহামেডান। সাইফউদ্দিন তিনটি ও তাসকিন, তাইজুলরা নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।



promotional_ad

এর আগে সকাল থেকেই মিরপুরের আকাশ খানিকটা মেঘলা ছিল। নির্ধারিত সময়েই মাঠে গড়ালেও ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই বৃষ্টির কারণে বন্ধ হয় মোহামেডান ও ধানমন্ডির খেলা। যদিও বৃষ্টি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। এমন দিনে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই ধীরগতির ব্যাটিং করতে থাকেন তামিম ইকবাল ও রনি তালুকদার। কোনো উইকেট না হারালেও পাওয়ার প্লেতে ৩১ রানের বেশি করতে পারেনি তারা দুজন। অধিনায়ক তামিমের বিদায়ে ভাঙে মোহামেডানের ৪৬ রানের উদ্বোধনী জুটি। 


আরো পড়ুন

ইনিংস লম্বা করার চেষ্টাতেই সফল নাইম

৬ ঘন্টা আগে
সেঞ্চুরির পথে নাইম শেখ, ক্রিকফ্রেঞ্জি

সানজামুল ইসলামের লো ফুলটস ডেলিভারিতে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে মাসুম খান টুটুলের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তামিম। সবশেষ ম্যাচেও রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে আউট হয়েছেন তিনি। মোহামেডানের অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে ৫৩ বলে ২৬ রান। বাঁহাতি ব্যাটারের মতো রনিও লম্বা সময় টিকে থাকলেও প্রত্যাশা মিটিয়ে রান তুলতে পারেননি। কামরুল ইসলাম রাব্বির লেংথ ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন ৬৪ বলে ৩৯ রান করা রনি।


ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে চারে সুযোগ পেলেও সেটা কাজে লাগাতে পারেননি সাইফউদ্দিন। ৯ বল খেলা বাঁহাতি ব্যাটার রানের খাতা খোলার আগেই বোল্ড হয়ে ফিরেছেন রাব্বির বলে। ৩০.৩ ওভারে একশ রান ছুঁয়েছে মোহামেডান। দলের রান একশ পেরিয়ে যেতেই ফিরে গেছেন মুশফিক। ব্যাট হাতে আরও একবার ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। কদিন আগে ওয়ানডে থেকে অবসর নেয়া ডানহাতি ব্যাটার ডিপিএলের চলমান আসরে সুবিধা করে উঠতে পারছেন না। 


সবশেষ ম্যাচে গাজী ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ৪৯ রান করলেও এদিন আউট হয়েছেন ১৩ বলে ৬ রান করে। জমে ওঠেনি মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও তাওহীদ হৃদয়ের জুটিও। লম্বা সময় ব্যাটিং করলেও দ্রুত রান তুলতে পারেননি অঙ্কন। দলকে বিপাকে ফেলে হাফ সেঞ্চুরির আগে ফিরেছেন তিনি নিজেও। হাসান মুরাদের বলে পয়েন্ট দিয়ে খেলতে গিয়ে ইয়াসির আলী চৌধুরির হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ফেরার আগে করেছেন ৭৭ বলে ৪৪ রান।


শেষের দিকে মিরাজ দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করলেও সেটা খুব বেশি কাজে আসেনি। পেসার রাব্বির শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে ফজলে রাব্বির হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ২৪ বলে ২৬ রান করা মিরাজ। পরবর্তীতে আবু হায়দার রনি ও হৃদয় মিলে খেলা মোহামেডানকে ২১৬ রানের পুঁজি এনে দিয়েছেন। ৪৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা হৃদয় ৫৩ এবং আবু হায়দার অপরাজিত ছিলেন ১৮ রানে। ধানমন্ডির হয়ে রাব্বি তিনটি এবং হাসান মুরাদ ‍দুটি উইকেট নিয়েছেন।



সংক্ষিপ্ত স্কোর-


মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব-  ২১৬/৬ (৫০ ওভার) (রনি ৩৯, তামি ২৬, অঙ্কন ৪৪, হৃদয় ৫৩; রাব্বি ৩/৫৪, মুরাদ ২/৩১) 


ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব- ১৯৩/১০ (৪৩.৩ ওভার) (সোহান ১০০, হাবিবুর ৩১, টুটুল ১৮; সাইফউদ্দিন ৩/৩৪, তাইজুল ২/৪০, তাসকিন ২/৫০) 



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball