সেঞ্চুরির পর বল হাতে ইফতির চমক, মোহামেডানকে হারাল গুলশান

ছবি: ইফতিখার হোসেন ইফতি, ক্রিকফ্রেঞ্জি

মূলত ইফতিখার হোসেন ইফতির অলরাউন্ডার নৈপুণ্যেই হার মানতে হয়েছে মোহামেডানকে। ব্যাট হাতে ১০৮ রানের ইনিংস খেলার পর মোহামেডানের ৩টি উইকেট শিকার করেছেন ইফতি। আর তাতেই লড়াই থেকে ছিটকে যায় মোহামেডান।
অমিত-ইমরানুজ্জামানের জুটির সেঞ্চুরিতে অগ্রণীর জয়
১৪ মিনিট আগে
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে মোহামেডান। অধিনায়ক ও ওপেনার তামিম ইকবাল ফিরেছেন ২২ রান করে। ৩১ রান এসেছে ওয়ান ডাউন ব্যাটার মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ব্যাট থেকে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন আরিফুল হক।
আরিফুল আউট হওয়ার পর আর কেউই দাঁড়াতে পারেননি। ইফতির ৩ উইকেট ছাড়াও দুটি করে উইকেট নিয়েছেন আজিজুল হাকিম তামিম ও ইলিয়াস সানি। একটি করে উইকেট পান রায়হান আলী ইকরাম, নিহাদ উজ্জামান ও আসাদুজ্জামান পায়েল।

এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৪ রানের মধ্যে দুই উইকেট হারায় গুলশান। ১১ বলে চার রান করে আবু হায়দার রনির বলে খোঁচা মেরে উইকেটরক্ষক অঙ্কনকে ক্যাচ দেন আজিজুল হাকিম তামিম। আট বলে আট রান করা খালিদ হাসানকেও বিদায় করেন আবু হায়দার রনি। তার বলে শর্ট থার্ড ম্যান অঞ্চলে রনি তালুকদারকে ক্যাচ দেন খালিদ।
দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর জাওয়াদ ও ইফতির ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় দলটি। দুজন দলের রানের খাতায় ৮৩ রান যোগ করেন। আরও বেশি জমে ওঠার আগে এই জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তার গুড লেংথের বলে শর্ট ফাইন লেগে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে ক্যাচ দেন ৮৬ বলে ৭৫ রান করা জাওয়াদ।
তারপর হাবিবুর শায়েখ মুন্নার সঙ্গে এগিয়ে যান ইফতি। এই জুটি তোলে ৯৪ রান। ৪১ ওভারে এই জুটি ভাঙেন আবু হায়দার রনি। তার অফ স্টাম্প তাক করা বলে ফাইন লেগে মাহমুউল্লাহ রিয়াদকে ক্যাচ দেন মুন্না। ফেরার আগে ৫৩ বলে ৪৭ রান আসে এই উইকেটরক্ষকের ব্যাটে।
এরপর ১২ বলে ১২ রান করা শাকিল হোসেনকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন ইবাদত হোসেন। চলতি মৌসুমের প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকানোর পর ৪৯তম ওভারে ফিরে যান ইফতি। আবু হায়দার রনির বলে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে তামিম ইকবালকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই সেঞ্চুরিয়ান। ১১০ বলে খেলা তার ১০৮ রানের ইনিংসে ছিল ৯টি চার ও তিনটি ছক্কার মার।
শেষদিকে মেহেদী হাসানের ১৩ বলে ২০ এবং নিহাদুজ্জামানের ৮ বলে ১৩ রানের ছোটো দুটি ইনিংসে তিনশ'র কাছাকাছি পৌঁছায় গুলশান। মোহামেডানের হয়ে ৬৬ রান খরচায় চার উইকেট নেন রনি। একটি করে উইকেট নেন সাইফউদ্দিন ও ইবাদত। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের নৈপুণ্যে রান আউট হন দুজন।