বরিশালের বিপক্ষে জিতেও ঢাকার বিদায়
ছবি: ম্যাচসেরা সুমন খান, ক্রিকফ্রেঞ্জি
জয়ের জন্য ১৭৯ রান তাড়ায় শুরুতেই আব্দুল মজিদের উইকেট হারায় বরিশাল। শুভাগত হোমের অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরের ফুলার ডেলিভারিতে জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে শর্ট থার্ডম্যানে থাকা মেহেদী হাসান সোহাগকে ক্যাচ দিয়েছেন ৯ রান মজিদ। আরেক ওপেনার ইফতিখার হোসেন ইফতিও সাজঘরে ফিরেছেন।
সাইফের বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন ইফতিখার। তবে শটের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় মেহেদীকে ক্যাচ দিয়েছেন ১০ রান করা এই ব্যাটার। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার একটু পর আউট হয়েছেন তিনে নামা ফজলে মাহমুদ রাব্বিও। বাঁহাতি এই অভিজ্ঞ ব্যাটারকে ফিরিয়েছেন সাইফ। ডানহাতি অফ স্পিনারের লেংথ ডেলিভারিতে ব্যাকফুটে গিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন ফজলে মাহমুদ।
যদিও ব্যাটের নিচের কানায় লেগে বোল্ড হয়ে ফিরতে হয় তাকে। মইন খানও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ৫৬ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর বরিশালকে পথ দেখাতে থাকেন সালমান হোসেন ইমন ও সোহাগ গাজী। তাদের দুজনের ৪১ রানের জুটি ভেঙেছেন সুমন। ডানহাতি পেসারের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে টপ এজ হয়ে আশিকুর রহমান শিবলীকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ৩০ রান করা সালমান।
অধিনায়ক সোহাগ আউট হয়েছেন ২০ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলে। শেষ দিকে কামরুল ইসলাম রাব্বি ২৩ বলে ৩৯ রানের ক্যামিও ইনিংস খেললেও ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রানের বেশি করতে পারেনি বরিশাল। ফলে ঢাকার কাছে ১৯ রানে হেরে জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টির প্রথম আসর থেকে বিদায় নিয়েছে তারা। ঢাকার হয়ে সুমন ও সাইফ নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে ২০ ওভারে ১৭৮ রান তুলে অল আউট হয় ঢাকা। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৬ রানের ইনিংস খেলেছেন সুমন। এ ছাড়া জাওয়াদ আবরার ৩২, আরিফুল ইসলাম ২৭, নাজমুল অপু ২৩ রান করেছেন। বরিশালের হয়ে ৩৬ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন রুয়েল মিয়া। ২৯ রান খরচায় ৩ উইকেট পেয়েছেন জেহাদুল ইসলাম জেহাদ।