জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়ার বাস্তবতা বুঝতে পারছেন বিজয়
ছবি: ঢাকার বিপক্ষে ৬৭ বলে অপরাজিত ১০১ রানের ইনিংস খেলেছেন এনামুল হক বিজয়, ক্রিকফ্রেঞ্জি
যদিও ‘পর্যাপ্ত’ সুযোগ পাওয়ার আগেই আবারও জাতীয় দল থেকে ছিটকে পড়তে হয়েছে বিজয়কে। তাতে নিজেকে খানিকটা অভাগা ভাবতে পারেন তিনি। সমর্থকদের অনেকের ধারণা, সবশেষ কয়েক বছরে সবচেয়ে কম সুযোগ পাওয়ার ক্রিকেটার অভিজ্ঞ এই উইকেটকিপার ব্যাটার। তবে হঠাৎ করে কিছু ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলেও সেটা দুই হাতে লুফে নিয়ে কাজে লাগাতে পারেননি বিজয়।
ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতে বর্তমানে বাংলাদেশের হয়ে খেলছেন সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম, লিটন দাস, পারভেজ হোসেন ইমনরা। দলে এতজন ওপেনার থাকায় অনুমেয়ভাবেই সুযোগ মিলছে না বিজয়ের। এদিকে ঘরোয়াতে ভালো খেলেও কেন জাতীয় দলে নিয়মিত সুযোগ পাচ্ছেন না সেটার বাস্তবতা বুঝতে পারছেন ৩২ বছর বয়সী এই ব্যাটার। বিজয়ের বিশ্বাস, ঘরোয়াতে ভালো খেলতে থাকলে আর দলের প্রয়োজন হলে অবশ্যই বাংলাদেশ দলে সুযোগ মিলবে।
খুলনার হয়ে ১০১ রানের ইনিংস খেলার পর সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে বিজয় বলেন, ‘দেখুন, চ্যালেঞ্জ একটা আছে খেলোয়াড়ের হাতে খেলোয়াড়ের আরেকটা থাকে নিজের। আমার উন্নতি হচ্ছে কিনা, দলে অবদান রাখতে পারছি কিনা, যখন আমার যে ভূমিকা থাকে সেটা পালন করতে পারছি কিনা এটা আসলে খুব গুরুত্বপূর্ণ। অন্যথায় আমি চিন্তা করি ওর জায়গা আমি খেলব বা... আমি যদি এখানে ভালো করতে থাকি আমার টিম ম্যানেজমেন্টও কিন্তু বলবে এই খেলোয়াড় ভালো খেলছে আপনি কেন জাতীয় দলে নিচ্ছেন না।
‘আমি যদি ভালো খেলি নির্বাচক দেখবে, সবাই দেখবে এই খেলোয়াড়টা ভালো আছে দলের জন্য কাজে লাগবে। অনেক সময় অনেক জায়গার খেলোয়াড় ভালো খেলে কিন্তু তাঁর জায়গায় ইতোমধ্যে খেলোয়াড় থাকে যে ভালো খেলছে। সে কারণে সুযোগ পায় না। সেটাও বুঝতে হবে। আমার কাছে মনে হয় দলের যখন প্রয়োজন হবে, দল যদি চায় এই খেলোয়াড়কে দরকার, এই ভূমিকা পালন করবে তাহলে সে সুযোগ পাবে। সেটা আমার ক্ষেত্রেও হতে পারে, যে কারও ক্ষেত্রেও হতে পারে।’
জাতীয় ক্রিকেট লিগের চারদিনের ম্যাচে মাত্র একটা সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন বিজয়। যদিও পুরো আসর জুড়ে রানের দেখা পেয়েছেন তিনি। এনসিএলের টি-টোয়েন্টি সংস্করণে এসে অবশ্য ছন্দে ছিলেন না ডানহাতি এই ব্যাটার। অবশেষে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে ৬৭ বলে ১০১ রান করে অপরাজিত ছিলেন। এমন সেঞ্চুরি পেলেও নিজের ব্যাটিং নিয়ে খুব বেশি সন্তুষ্ট না তিনি।
বিজয় বলেন, ‘আমি একদমই খুব ভালো ব্যাটিং করেছি তা না। আমার কাছে মনে হয়েছে আমি খুব চেষ্টা করেছি মারার, রান বের করার। আসলে আমি পারছিরলাম না, খুবই চেষ্টা করছিলাম। যখন ১৬ ওভার পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে চেষ্টা করেছি মারার কিন্তু হচ্ছিল না ব্যাটে বলে। এরপর যখন মোমেন্টাম পেলাম কিছু বল ব্যাটে লাগল তখন যখন স্কোরবোর্ডে দেখলাম ৮৮ রান তখন মনে হয়েছে এক ওভার বাকি আছে দুইটা বাউন্ডারি হলে সেঞ্চুরি সম্ভব। তার আগ পর্যন্ত আমি একবারও মনে করিনি যে আমি খুব ভালো ব্যাটিং করছি।’