টস হেরে আগে ব্যাট করে ১৮১ রানের লড়াকু পুঁজি দাঁড় করায় আয়ারল্যান্ড। দলটির হয়ে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকান হ্যারি টেক্টর। জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশের ব্যাটাররা যেন কোনো কুল কিনারা করতে পারছিলেন না।
৭৪ রানে আট উইকেট হারানো বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ধুঁকতে ধুঁকতে ১৪২ রান তোলে। ব্যাটিং বাংলাদেশের হয়ে সফল ছিলেন তাওহীদ হৃদয়। তার ৪৫ বলে খেলা ৮৩ রানের ইনিংসে পরাজয়ের ব্যবধান কিছুটা কমাতে পেরেছে টাইগাররা।
বল হাতে আয়ারল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে সফল ছিলেন ম্যাথু হামফ্রিস। মাত্র ১৩ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করেন এই স্পিনার। ম্যাচসেরার পুরস্কারও তার হাতে যায়।
ম্যাচ শেষে লরকান টাকার বলেন, '(হামফ্রিস) দারুণ অ্যাকুরেট বোলিং করে গেছে। লাইন মেইনটেইন করে গেছে। সে নিজের কাজের জন্য পুরস্কারও পেয়েছে। দারুণ স্পেল ছিল। সব মিলিয়ে বেশ ভালো করেছে।'
'শুরুর দিকে বোলিংয়ে যত অ্যাকুরেট হওয়া যায় চেষ্টা করে গেছি, ম্যাথু এবং মার্ক (অ্যাডায়ার) তাদের কাজটা দারুণভাবে করে গেছে। আমার মনে হয় এই উইকেটে ঠিকঠাক বোলিং করলে আপনি সেটার মূল্য পাবেন। এভাবেই এগিয়েছি আমরা আজকে।'
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লে'তেই ২০ রানে চার উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর হৃদয় একা লড়াই চালিয়ে যান। তাকে উল্লেখ করার মতো সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই।
টাকার আরো বলেন, 'পাওয়ার প্লে'র মধ্যে চার উইকেট হারিয়ে ফেলে খুব বেশি দল জিততে পারেনি আসলে। ফলে আমরা এটা জানতাম। সবাই কঠোর পরিশ্রম করে গেছে। অ্যাকুরেট হতে চেয়েছে সবাই। বাংলাদেশকে ক্রমাগত চাপে রাখতে চেয়েছে লম্বা সময় ধরেই। এভাবেই সবাই সফল হয়েছে।'