জয়ের জন্য ১৮২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের তৃতীয় বলেই তানজিদ হাসান তামিমের উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। বাঁহাতি স্পিনার ম্যাথু হামফ্রিসের বলে উড়িয়ে মারার চেষ্টায় মিড অনে হ্যারি টেক্টরের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। পরের ওভারে আউট হয়েছেন লিটনও। পেসার মার্ক অ্যাডায়ারের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিয়েছেন টিম হ্যাক্টরের হাতে। ৩ বলে ১ রান করেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।
ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি পারভেজ হোসেন ইমনও। অ্যাডায়ারের অফ স্টাম্পের বাইরে শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে জর্জ ডকরেলের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। ৬ বলে ১ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। পাওয়ার প্লে শেষের আগে ফেরেন সাইফ হাসানও। ব্যারি ম্যাকার্থির ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ১৩ বলে ৬ রান করেছেন সাইফ।
দ্রুতই চার উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন হৃদয় ও জাকের। যদিও তাদের দুজনের জুটিকে খুব বেশি ভয়ঙ্কর হতে দেননি ম্যাকার্থি। ডানহাতি পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে টেনে খেলার চেষ্টায় টাইমিং করতে পারেননি জাকের। ব্যাটের কানায় লেগে থার্ডম্যানে গেলে ফিরতে হয় ২০ রানে। জাকেরের বিদায়ে ভাঙে হৃদয়ের সঙ্গে ৪৮ রানের জুটি। অফ স্টাম্পের বাইরের বল টেনে খেলতে চেয়েছিলেন জাকের।
ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ যায় থার্ড ম্যানে। দৌড়ে এগিয়ে এসে ক্যাচ নেন জশ লিটল। ভাঙে ৩৪ বল স্থায়ী ৪৮ রানের জুটি। দ্রুতই ফিরে গেছেন তানজিম হাসান সাকিব ও রিশাদ হোসেনও। শেষের দিকে দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন হৃদয়। একা লড়াই করে খেলেছেন ৮৩ রানের ইনিংস। বাংলাদেশ থেমেছে ৯ উইকেটে ১৪২ রান তুলে। আয়ারল্যান্ডের হয়ে চারটি উইকেট নিয়েছেন হামফ্রিস। এ ছাড়া ম্যাকার্থি তিনটি ও অ্যাডায়ার নিয়েছেন তিনটি।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু পায় আয়ারল্যান্ড। অধিনায়ক পল স্টার্লিং ২১ রান করে ফিরলেও সফরকারীদের এগিয়ে নিয়েছেন ৩২ রান করা টিম টেক্টর। পরবর্তীতে লরকান টাকার ১৮ ও কার্টিস ক্যাম্ফার ২৪ রান করেছেন। বাংলাদেশের উপর তাণ্ডবটা চালিয়েছেন হ্যারি টেক্টর। ৪৫ বলে ৬৯ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। শেষ ১০ ওভারে ১০৪ রান যোগ করে আয়ারল্যান্ড। যার ফলে ৪ উইকেটে ১৮১ রানের পুঁজি পায় সফরকারীরা।