নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে আয়ারল্যান্ড অল আউট হয়ে গেছে ২৯১ রানে। কার্টিস ক্যাম্ফার ৭১ রানে অপরাজিত থাকলেও তার দল হেরেছে ২১৭ রানের বিশাল ব্যবধানে। এই ম্যাচটি বাংলাদেশের কাছে বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছিল মুশফিকুর রহিমের শততম টেস্ট হিসেবে। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি ও দ্বিতীয় ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ম্যাচটি স্মরণীয় করে রেখেছেন তিনি।
এমন পারফরম্যান্সের পর ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ও হয়েছেন মুশফিক। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মুশফিক জানিয়েছেন একশ টেস্টেই থেমে থাকতে চান না তিনি। আরও কিছু টেস্ট খেলতে চান। ২১ বছরের ক্যারিয়ারের পরও তার কাছে এখনও টেস্ট খেলা মানে অভিষেক টেস্টের অনুভূতি।
মুশফিক বলেছেন, 'আল্লাহ আমাকে এই সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। এতদিনে ১০০টা টেস্ট খেলেছি, সামনে আরও কয়েকটা খেলতে চাই। প্রতিটি মুহূর্ত আমি উপভোগ করি। দেশের হয়ে ১০০ টেস্ট খেলার সৌভাগ্য সত্যিই বিশেষ। আজও মনে হচ্ছে যেন প্রথম ম্যাচটাই খেলছি। নিজেকে ভাগ্যবান মনে হয়।'
এক সময় বাংলাদেশের সবচেয়ে তরুণ ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট দলে এসেছিলেন মুশফিক। ২০০৫ সালে ইংল্যান্ড সফরে লর্ডস টেস্টে অভিষেক হয় এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারের। তবে সময়ের পরিক্রমায় তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ টেস্ট ক্রিকেটার। মুশফিক চান তরুণরা তার কাছ থেকে শিখুক। সবাই মিলে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে চান তিনি।
মুশফিক বলেছেন, 'আমি সত্যিই ভাগ্যবান! সতীর্থদের সঙ্গে যা কিছু পারি, সব ভাগ করে নিতে পারছি। একসময় নিজেকে তরুণ খেলোয়াড় মনে হতো, কিন্তু এখন আর তা নেই; এখন আমি দলে সিনিয়র, আর তরুণদের পথ দেখানোই আমার দায়িত্ব। আমি নিশ্চিত, ওরা আমার কাছ থেকেও শিখবে, অন্যদের কাছ থেকেও শিখবে। আশা করি, সবাইকে নিয়ে আমরা বাংলাদেশ ক্রিকেটকে আরও এগিয়ে নিতে পারব।'