জয়ের সুবাস পাচ্ছে বাংলাদেশ, অপেক্ষায় রাখল আয়ারল্যান্ড

বাংলাদেশ
জয়ের সুবাস পাচ্ছে বাংলাদেশ, অপেক্ষায় রাখল আয়ারল্যান্ড
বাংলাদেশ দল, ক্রিকফ্রেঞ্জি
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
ঢাকা টেস্টের নাটাই যেন শুরু থেকেই বাংলাদেশের হাতে। সিলেটের পর মিরপুর টেস্টেও শুরু থেকে নিজেদের দাপট অব্যাহত রেখেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। আইরিশদের পাহাড়সম লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়ে চতুর্থ দিন শেষে তাদের ছয় উইকেট তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা। শেষদিন হোয়াইটওয়াশ এড়াতে আইরিশদের জয়ের জন্য প্রয়োজন আরও ৩৩৩ রান। বাংলাদেশের দরকার চার উইকেট। ৫০৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা আয়ারল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে করেছে ছয় উইকেটে ১৭৬ রান।

তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল এক উইকেটে ১৫৬ রান। এর আগে আয়ারল্যান্ডকে ২৬৫ রানে গুটিয়ে তারা পায় ২১১ রানের লিড। সব মিলিয়ে এখন ৩৬৭ রানে এগিয়ে থেকে দিন শুরু করা স্বাগতিকদের হয়ে শুরুটা দেখেশুনেই করেছিলেন সাদমান ইসলাম ও মুমিনুল হক।

যদিও দিনের তৃতীয় ওভারে অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন সাদমান। ৭ চারে ১১৯ বলে ৭৮ রান করেন তিনি। মুমিনুলকে সঙ্গ দিতে নামা শান্ত অবশ্য ছন্দ খুঁজে পাওয়ার আগেই হাঁটেন প্যাভিলিয়নে। পরপর দুই ওভারে দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

জর্ডান নিলের হালকা লাফানো ডেলিভারিতে পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে বসেন শান্ত। এক রানে অধিনায়কের বিদায়ে মুমিনুলের সঙ্গে জুটি বাঁধতে ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম। তবে প্রথম ইনিংসের এই সেঞ্চুরিয়ান স্লগ সুইপ করতে গিয়ে নিজের উইকেট হারাতে বসেছিলেন। ডিপ স্কয়ার লেগে তার ক্যাচ নিতে পারেননি ক্যাড কারমাইকেল।

১৬ রানে বেঁচে যান শততম টেস্ট খেলতে নামা অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। খানিক পর মুমিনুল তুলে নেন নিজের হাফ সেঞ্চুরি। ৭৪ বলে পূরণ করেন তার ক্যারিয়ারে এটি ২৫তম ফিফটি। এরপর ১৪৪ বলে নিজেদের জুটির সেঞ্চুরি পূরণ করেন তারা।

খানিকপর মুশফিক তুলে নেন নিজের হাফ সেঞ্চুরি। শততম টেস্টে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি ও ফিফটি করা মাত্র দ্বিতীয় ব্যাটার মুশফিক। এর আগে শুধু রিকি পন্টিংয়ের ছিল এই কীর্তি। তিনি দুই ইনিংসেই করেন সেঞ্চুরি। এরপরই লাঞ্চে যায় বাংলাদেশ। তবে বিরতির পর নেমে সেঞ্চুরির আশায় থাকা মুমিনুলের আশাভঙ্গ করেন গেভিন হোয়ে।

৮৭ রানে মুমিনুল আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ইনিংস ঘোষণা করেন শান্ত। ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিক, বাংলাদেশ করে চার উইকেটে ২৯৭ রান। আয়ারল্যান্ডের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫০৯ রান। জিততে হলে তাই ইতিহাস গড়তে হতো আইরিশদের।

সেই ইতিহাস গড়ার লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় আয়ারল্যান্ড। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে তাইজুল ইসলাম আঘাত হানেন প্রতিপক্ষ শিবিরে। অ্যান্ডি ব্যালবার্নিকে এলবিডব্লিউ করে সাকিবকে টপকে এক নম্বরে উঠে যান তাইজুল। রিভিউ নিয়ে লাভ হয়নি আইরিশ অধিনায়কের।

খানিক পর তাইজুলের ওভারেই ব্যাটের কানায় লেগে শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়ে বসেন ৯ রান করা পল স্টার্লিং। এরপর জুটি গড়ার চেষ্টায় লড়তে থাকেন ক্যাড কারমাইকেল ও হ্যারি ট্যাক্টর। কিন্তু ২০তম ওভারে আক্রমণে এসে প্রথম বলেই উইকেট পান হাসান মুরাদ।

এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ১৯ রান করা রমাইকেল। নিশ্চিত আউট বুঝতে পারায় রিভিউও নেননি তিনি। সঙ্গী হারালেও ব্যক্তিগত মাইলফলকে পৌঁছে যান ট্যাক্টর। কিন্তু পঞ্চাশ করে আর টিকতে পারেননি টেক্টর। মুরাদের বলে ক্রিজ ছেড়ে মারতে গিয়ে মুশফিকুর রহিমের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ফেরার আগে ৭ চারে ৮০ বলে টেক্টর করেন ৫০ রান।

তার বিদায়ে ভাঙে ৪১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি। এরপর পেসারদের মধ্যে বোলিংয়ে এসে আরও একটি উইকেট তুলে নেন খালেদ আহমেদ। প্রথম ইনিংসে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন লরকান টাকার। দ্বিতীয়বারে তাকে থামিয়ে দেন খালেদ। কট বিহাইন্ড হয়ে ফিরে যান ৭ রান করা আইরিশ উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। শেষ বিকেলে তাইজুলের বলে এলবিডব্লিউ হন স্টিভেন ডোহেনি। ৫২ বলে ১৫ রানে ফিরে যান তিনি।

আরো পড়ুন: বাংলাদেশ