হাফ সেঞ্চুরি ছোঁয়া হয়নি লিটন দাসেরও। তিনি অপরাজিত ৪৭ রানে। দুজনেই মাইলফলক সামনে রেখে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন। তবে এমন অবস্থায় থেকেই মুশফিককে নিয়ে চিন্তিত নন মুমিনুল হক। ব্যাটারটি মুশফিক বলেই তিনি দুর্ভাবনার কিছু দেখছেন না।
সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল বলেন, ‘শেষের দিকে মনে হচ্ছিল আজকে হয়ে যাবে। যদিও ওরা দেরি করেছে, এই কারণে হয়নি। তবে তা নিয়ে আমি খুব বেশি আতঙ্কিত নই। কারণ উনার তো একশ করার, দুইশ রান করার অভ্যাস আছে। আমি জানি যে, ওই জায়গায় গেলে উনি অস্থির হন না। নব্বইয়ে গেলে তিনি প্যানিকড হন না। এই কারণেই আত্মবিশ্বাসটা আছে। অন্য কেউ থাকলে হয়তো একটু ‘প্যানিকড’ থাকতাম। যেহেতু উনি আছেন, আমার মনে হয় উনিও প্যানিকড না, আমরাও কেউ উদ্বিগ্ন নই। কালকে (বৃহস্পতিবার) ইনশাআল্লাহ হয়ে যাবে।’
৯০ ওভার শেষেও আর একটি ওভার হওয়ার সময় আছে কি না তা নিয়ে আম্পায়ারের কাছে জানতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশের দুই ব্যাটার। তবে আম্পায়ার ৯০ ওভারের পরই দিনের খেলা শেষ করেন। মুশফিকও হাসতে হাসতে মাঠ ছাড়েন লিটনকে নিয়ে। তবে মুশফিকের অভিব্যপ্তিতে কোনো উদ্বেগ দেখেননি মুমিনুল।
তিনি যোগ করেন, ‘মুখের ভাষা দেখে আমার কাছে মনে হয় না যে কোনোভাবে তিনি নার্ভাস ছিলেন, অথবা ছবি-টবি তুললে হয়তো বুঝতে পারতাম। স্বাভাবিকই ছিলেন। উনি আগে যেরকম ছিলেন, একশ ম্যাচ খেলার আগে যেরকম ছিলেন, এখনও সেরকমই আছেন। বাড়তি কিছু উনার মধ্যে দেখিনি, উনার ১০০ ম্যাচ খেলছে, ১০০ রান করতে হবে ওইরকম কোনো কিছু দেখি নাই আমি।'
মুশফিক যখন উইকেটে আসেন তখন অন্যপাশে ছিলেন মুমিনুল। তিনি তাকে মাইলফলকের ম্যাচেও বেশ শান্ত দেখেছেন। সে সময়ের কথা জানিয়ে মুমিনুল বলেন, 'উনি যখন ক্রিজে আসছিলেন, তখন তো শূন্য রানে ছিলেন, তখন থেকে দেখছিলাম যে খুব শান্ত। স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করেছেন, পরিস্থিতি বুঝে ব্যাটিং করছিলেন। পুরোটা ইনিংস তার নিয়ন্ত্রণে ছিল।'