বিসিবির সভাপতি হয়ে ‘একটি কুইক টি-টোয়েন্টি ইনিংস’ খেলতে চেয়েছিলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তবে গুঞ্জন আছে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের চাওয়ায় নির্বাচনে অংশ নেন তিনি। নির্বাচনের ঘোষণা দেয়ার পর বুলবুলের বেশ কিছু কাজ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে চিঠিতে নিজে স্বাক্ষর করে কাউন্সিলর পরিবর্তনের ‘আদেশ’ দেয়া। পাশাপাশি ১৫ ক্লাবের কাউন্সিলরশিপ বাতিল করাও সমালোচনার মুখে ফেলেছে তাকে।
যদিও আইন আদালতে বরাতে কাউন্সিলরশিপ ফিরে পায় ক্লাবগুলো। এসবের বাইরে গিয়ে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার প্রচেষ্টায় বুলবুল ও তামিম পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা চলেছে। যদিও শেষ পর্যন্ত সেটা হয়ে উঠেনি। যার ফলে সরকারি হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে সরে দাঁড়ান তামিমসহ ১৬ জন প্রার্থী। পরবর্তীতে আরও কয়েকজন একই পথে হেঁটেছেন।
এমনকি নির্বাচনের আগে রাত ২টার পর নাম প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন ক্লাব ক্যাটাগরির প্রার্থীদের একজন মোহাম্মদ ফায়জুর রহমান ভূঞা। এ ছাড়া ৬ অক্টোবরের আগেই চুপিসারে নির্বাচন হয়ে যাওয়ার গুঞ্জনও ছিল। পরবর্তীতে আনুষ্ঠানিকতা শেষে দায়িত্ব নেন ২৫ পরিচালক। তবে নানা কারণেই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে গেছে। সেই প্রশ্ন তামিম তুলেছেন কদিন আগেও।
বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের চোখে বুলবুল, ফারুক আহমেদ, আব্দুর রাজ্জাক, খালেদ মাহমুদ পাইলটদের বোর্ড অবৈধ। তবে এসবকে খুব বেশি পাত্তা দিচ্ছেন না আসিফ আকবর। বিসিবির বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট কমিটির সভাপতি ক্রিকফ্রেঞ্জিকে বলেন, ‘উনি (তামিম ইকবাল) তো বোর্ডের কেউ না। উনি তো অবৈধ—আপনার যে কেউ বলতে পারে। ২৫জন পরিচালক, ২৬ নম্বর লোক বলতেই পারে এই বোর্ড অবৈধ। আপনাকে প্রমাণ করতে হবে অবৈধ, মুখ দিয়ে বললে তো লাভ নেই।
‘সবকিছুর একটা লজিক্যাল ইস্য থাকে না? মানে যৌক্তিক, আইনগত এবং প্রমাণের বিষয় থাকে। আমি একটা ফেসবুক কন্টেন্ট ক্রিয়েটরকে বলে দিলাম এটা তো হলো না। এটা তো জাতীয় মিডিয়াতে তাকে প্রেস কনফারেন্স করে বলতে হবে, প্রমাণ নিয়ে হাজির হতে হবে এটা অবৈধ। এই কারণে এটা অবৈধ এবং এটার বিরুদ্ধে যাওয়ার জন্য কোর্ট আছে, যে যে প্রসিডিউরগুলো আছে সেগুলো মানতে হবে। কথা বললে তো আসলে লাভ নেই। এই কথার কোনো গুরুত্ব আছে বলে আমি মনে করি না।’
বিসিবি পরিচালক হয়ে বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট কমিটির দায়িত্ব নিয়েছেন আসিফ। চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে নির্বাচিত হওয়া আসিফ রাঙামাটিসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখেছেন এবং মাঠের সমস্যা নিরসনে সোচ্চার হয়েছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট কনফারেন্সের উদ্বোধনী দিনে তিনি জানিয়েছিলেন, ফুটবলারদের ব্যবহার খুব খারাপ, তারা ক্রিকেটের উইকেট নষ্ট করে ফেলে, তাদের কারণে সারা দেশে ক্রিকেট খেলা যাচ্ছে না।
পাশাপাশি তাদের সঙ্গে ‘মারামারি’ করে হলেও মাঠের ন্যায্যতা বুঝিয়ে নেয়ার কথা বলেছিলেন। যদিও এমন বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য বিসিবিকে চিঠি পাঠায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। এমন অবস্থায় চিঠির জবাব দিয়ে বাফুফের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে। এমনকি আসিফ নিজেও লাইভে এসে দুঃখ প্রকাশের কথা জানান।