টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ৯ নম্বরে। ২৭ ম্যাচে দলটির রেটিং ৬১। অপরদিকে আয়ারল্যান্ড আছে ১০ নম্বরে। পাঁচ নম্বরে দলটির রেটিং ৩০। টেস্ট ক্রিকেটে ২৫ বছর পূরণ হয়েছে বাংলাদেশের।
অপরদিকে আয়ারল্যান্ড টেস্টে অনেকটাই নতুন। ২০১৭ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়া দলটি এখন পর্যন্ত খেলেছে ১১টি টেস্ট। এর মধ্যে আটটি টেস্ট হেরেছে তারা, জিতেছে তিনটিতে।
এদিকে বাংলাদেশের টেস্ট যাত্রার শুরু থেকে না থাকলেও মুশফিক ছিলেন ২০০৫ সাল থেকে। লর্ডসে অভিষেক হওয়া এই উইকেটরক্ষক সাদা পোশাকের সুদীর্ঘ যাত্রায় করেছেন প্রায় সাড়ে ছয় হাজার রান (৬,৩৫১)।
তার প্রশংসায় মালান বলেন, 'দেশের জন্য ১০০টি টেস্ট ম্যাচ খেলা একটি বিশাল অর্জন। আমরা মাত্র ১০টি টেস্ট খেলেছি। তাই, এটা ধৈর্যের একটা চিত্র তুলে ধরে। এর পেছনে অনেক কঠোর পরিশ্রম রয়েছে। আপনি যদি যোগ করেন, তাহলে প্রায় চার-পাঁচশ ওয়ার্ম-আপ হবে যা সে এই সময়ে করেছে।'
'তাই, আমাদের জন্য এটাই বোঝা যে টেস্ট ক্রিকেট একটা কঠোর পরিশ্রমের খেলা, এবং আশা করি এই পাঁচ দিন সে ভালো না খেলুক, তবে ১০০তম টেস্ট খেলার জন্য তাকে অভিনন্দন।'
এখনো পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে ৯৯ টেস্টে ২৭টি হাফ সেঞ্চুরি ও ১২টি সেঞ্চুরি করেছেন মুশফিক। অনুশীলনে তার পেশাদারিত্ব এদেশের ক্রিকেটে বহুল চর্চিত বিষয়। এমন পেশাদারিত্ব মনে ধরেছে মালানের।
আয়ারল্যান্ডের কোচ আরো বলেন, 'আমি মনে করি তার পেশাদারিত্ব (এতদিন ধরে খেলে আসার কারণ)। আমি ভোরে উঠি এবং প্রতিদিন সকালে হোটেলে তাকে সকাল ৬:৪৫ টায় মুশফিককে নাস্তা করতে দেখি।'
'তারপর সে সবার আগে বাসে ওঠে, মাঠে যায় এবং অন্য খেলোয়াড়রা আসার আগেই সে তার ওয়ার্ম-আপ, স্ট্রেচিং, এবং ব্যাটিং অনুশীলন করে।'