দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫৪ রানে অল আউট হয়ে আয়ারল্যান্ড ম্যাচ হেরেছে ইনিংস ও ৪৭ রানের ব্যবধানে। চতুর্থ দিনের শুরুতে ভালোই ব্যাটিং করছিলেন আয়ারল্যান্ডের দুই ব্যাটার অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন ও ম্যাথু হামফ্রিস। এই দুজনের ব্যাটে দলীয় একশ পেরিয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। তবে এই জুটিকে বেশিদূর এগোতে দেননি তাইজুল ইসলাম।
এই বাঁহাতি স্পিনারকে সুইপ করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে সাদমান ইসলামকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। হামফ্রিসের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১৬ রান। এরপর ম্যাকব্রাইনের সঙ্গে যোগ দেন অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবির্নি। শুরুতে উইকেট হারালেও বাকি সময়টা দেখেশুনে খেলতে থাকেন তারা।
এরপর দুইবার রিভিউ নিয়ে বাঁচেন ম্যাকব্রাইন। ৭তম উইকেটে ম্যাকব্রাইন ও বালবির্নি ৬৬ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশের জয়ের অপেক্ষা বাড়িয়েছেন। এই জুটি ভাঙেন হাসান মুরাদ। ৩৮ রান করা বালবির্নিকে এলবিডব্লিউ করে আউট করেন তিনি। তখনও একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন ম্যাকব্রেইন।
তিনি ১০২ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। ৫২ রানে অপরাজিত থেকে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে যান তিনি। বিরতির পরই আয়ারল্যান্ড শিবিরে আঘাত হানেন নাহিদ রানা। ম্যাকব্রাইনকে তিনি ফেরান ব্যক্তিগত ৫২ রানে। এরপর আরেকটি বড় জুটি গড়েন জর্ডান নিল ও ব্যারি ম্যাকার্থি। এই দুজনে নবম উইকেটে গড়েন ৫৪ রানের জুটি।
মনে হচ্ছিল তারা আরও লম্বা করবেন জুটি। তবে তা হতে দেননি হাসান মুরাদ। এই স্পিনারের বলে লং অনে সাদমান ইসলামকে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন নিল। ৫৩ বলে ৩৬ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। এরপর আর গুটিয়ে যেতে সময় নেয়নি আয়ারল্যান্ড। ২৫ রান করা ম্যাকার্থিকে ফিরিয়ে আইরিশদের ইনিংস গুটিয়ে দেন তাইজুল।
বাংলাদেশের হয়ে ৪ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের সেরা বোলার অভিষিক্ত হাসান মুরাদ। আর ৩টি উইকেট গেছে তাইজুলের ঝুলিতে। ২টি উইকেট পেয়েছেন নাহিদ। প্রথম ম্যাচ জিতে ২ ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ১৯ নভেম্বর শুরু হবে ঢাকায়।