সাম্প্রতিক সময়ে দল হিসেবে একেবারেই ভালো করতে পারছে না বাংলাদেশ। সবশেষ এশিয়া কাপে সুপার ফোরে খেললেও বাংলাদেশের খেলার ধরন নিয়ে ব্যাপকভাবে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে ভারত ও পাকিস্তান ম্যাচে ব্যাটারদের পারফরম্যান্স। আফগানিস্তানের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজ জিতলেও টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ হয়েছেন সাইফ হাসান-জাকের আলী অনিকরা। একই চিত্র ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও।
মিরপুরের কালো মাটির উইকেটে বাংলাদেশকে সিরিজ জিতলেও টি-টোয়েন্টিতে দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশ। জাতীয় দলের ভালো-মন্দের বিষয়গুলো দেখভাল করে ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি। কখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না খেলায় বর্তমানের চাহিদা মেলাতে পারছেন না ফাহিম, এমন অভিযোগ আছে। যার প্রেক্ষিতে সাবেক ক্রিকেটারদের নিয়ে নতুন একটা কমিটি গড়তে পারে বিসিবি।
সেই ছায়া কমিটির দায়িত্বে থাকতে পারেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল, ফারুক আহমেদ, খালেদ মাসুদ পাইলট ও আব্দুর রাজ্জাক। একটা সময় ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান ছিলেন গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। ওই সময় ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের একটি টেকনিক্যাল কমিটি ছিল। কেন্দ্রীয় চুক্তির ক্রিকেটার বাছাই, জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেল, কোচিং প্যানেল, সাপোর্ট স্টাফে নিয়োগের সুপারিশ করতো। এবারও সেই পথেই হাঁটতে যাচ্ছে বিসিবি।
যদিও এমন কিছুর সম্ভাবনা দেখছেন না ফাহিম। ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের চেয়ারম্যান বলেন, ‘ছায়া কমিটির তো কোনো সুযোগ নেই। বিসিবির প্রত্যেকটা কমিটিরই স্ট্যান্ডিং কমিটি আছে এবং সেই স্ট্যান্ডিং কমিটি যখন পূর্ণাঙ্গরূপে কাজ করবে তারাই সব সিদ্ধান্ত নেবে। এখানে ছায়া কমিটি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু যেটা হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে অনেক বলব না কিছু সংখ্যক সাবেক ক্রিকেটার আছে—যাদের যথেষ্ট অভিজ্ঞতা আছে এবং ক্রিকেট বোর্ডে যথেষ্ট সময় কাটিয়েছে।’
‘যেকোনো বিষয়ে তাদের সাথে আলোচনা হতে পারে। সেটা যদি আমি একজন বিদেশি কোচ নিতে চাই, প্রধান কোচ নিতে চাই—একটা বিশেষ কমিটি করে সেটা করা যেতে পারে। আমরা যদি একজন অধিনায়ক নির্বাচন করতে চাই সেটা একটা বিশেষ কমিটি করে করা যেতে পারে। এসব হতেই পারে। তার মানে এই না যে স্ট্যান্ডিং কমিটিকে অবমূল্যায়ন করার কোন সুযোগ আছে।’
বাংলাদেশ দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে মনঃক্ষুণ্ণ বুলবুলের। একটা সময় জাতীয় দলের বিভিন্ন সিদ্ধান্তে জড়িত থাকবেন নাজমুল হাসান পাপন। এবার বুলবুলও প্রায় একই পথে হাঁটতে পারেন। যদিও বিসিবি সভাপতি হওয়ার সময় জানিয়েছিলেন তৃণমূল পর্যায়ের ক্রিকেট নিয়েই থাকবেন তিনি। যদিও আয়ারল্যান্ড সিরিজ থেকে জাতীয় দলের কাছাকাছি থাকবেন বলে কালেরকণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন বিসিবি সভাপতি নিজেই।