গত বছরের এপ্রিলে দুই বছরের চুক্তিতে বাংলাদেশে যোগ দিয়েছিলেন কেলি। তবে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তিনি দায়িত্ব থেকে সরে এসেছেন। পরিবারকে বেশি সময় দিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সোমবার দুপুর ১ টায় বিসিবিকে আনুষ্ঠানিক মেইল দিয়েছেন তিনি।
এশিয়া কাপ চলাকালীন সময়ে পিতৃত্বকালীন ছুটি নিয়েছিলেন কেলি। ২৪ সেপ্টেম্বর বাবা হওয়ার পর আর জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দেননি তিনি। এর ফলে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আফগানিস্তান সিরিজ এবং দেশে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে তাকে পায়নি জাতীয় দল।
এই সময় জাতীয় দলের ফিটনেস ট্রেনারের দায়িত্ব পালন করেছেন ইফতেখার রহমান।
কেলি দায়িত্ব নেওয়ার সময় বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষায় কিছু নতুনত্ব এনেছিলেন। প্রচলিত বিপ এবং ইয়ো-ইয়ো টেস্টের বাইরে তিনি চালু করেছিলেন ‘টাইম ট্রায়াল’।
এই পরীক্ষায় ক্রিকেটারদের চার চক্করে ১,৬০০ মিটার দৌড় সম্পন্ন করতে হতো এবং সময়ের ওপর ভিত্তি করে পাস-ফেল নির্ধারণ করা হতো। জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা এশিয়া কাপের আগে এবং ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্ট শুরুর আগে এই ‘টাইম ট্রায়াল’ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।
কেলি নতুন নিয়মগুলো কার্যকরভাবে প্রয়োগ করেছিলেন। বাংলাদেশে আসার আগে নাথান কেলি অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস দলের ফিটনেস ট্রেনার এবং একটি রাগবি দলের ফিটনেস ট্রেনার হিসেবে কাজ করেছেন।