আর এবার কোচ থেকে বিসিবি পরিচালক হয়েছেন পাইলট। সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে বিসিবির সভা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তারাও। প্রথম অভিজ্ঞতার কথা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন দুজনই। এক জায়গায় দুজনের লক্ষ্যই এক দেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে কাজ করা।
কাজের সুযোগ পাচ্ছেন দুজনই। পাইলট হয়েছেন বিসিবির হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের প্রধান। আর রাজ্জাক কাজ করবেন উইমেন্স উইং নিয়ে। আর ক্যাটাগরি-৩ থেকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জিতে পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন। গত নির্বাচনে অংশ নিয়েও হারতে হয়েছিল তাকে। এবার ঠিকই জয় পেয়েছেন তিনি।
নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে পাইলট বলেছেন, ‘প্রথম বোর্ড সভায় থাকাটা একটা ভিন্ন অভিজ্ঞতা। আজ আমি অভিজ্ঞ যাঁরা আছেন, তাঁদের কথা শুনেছি, কিছু শেখার চেষ্টা করেছি। তবে আমি মনে করি, এই চেয়ার শুধু একটা অলংকার হবে না। এটা একটা কাজের চেয়ার হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথম দিন আমাদের ভালো একটা মিটিং হয়েছে। আশা করি, এ রকমই সুন্দর ও ইতিবাচক সভা হবে ভবিষ্যতেও। ইনশা আল্লাহ, আমরা সুন্দরভাবে ভালো ভালো কাজ করব। আপনারা জানেন, আমি মাঠপর্যায়ে কাজ করে এসেছি। তবে আমি মনে করি, আমাদের ক্রিকেটটা যে পরিমাণ জনপ্রিয় করা যেত, সেই জায়গায় আমরা এখনো পৌঁছাইনি।’
বিসিবি নির্বাচনের জন্য রাজ্জাক মনোনয়ন নিয়েছিলেন খুলনা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে। ফলে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। দায়িত্ব পেয়ে রাজ্জাক জানিয়েছেন এই দায়িত্বকে ভিন্নকিছু মনে হচ্ছে না তার। এতদিন যেভাবে ক্রিকেট দেখেছেন মাঠ থেকে এবার পরিচালকের আসনে বসে সেভাবেই কাজ করতে চান।
রাজ্জাকের ভাষ্য, ‘এত দিন মাঠ থেকে ক্রিকেটটাকে দেখেছি। এবার বোর্ড পরিচালকের আসনে বসে দেখব, কাজ করব। শুরুতে অন্যদের কথা শোনা, তাদের কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করব। তবে আমার মনে হয়, যেহেতু মাঠের অভিজ্ঞতা আছে, পরিচালক হিসেবে ক্রিকেটের জন্য কাজ করাটা তেমন কঠিন হবে না।’