টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হওয়ার অভিজ্ঞতা থাকলেও, ওয়ানডেতে দুই দল এখনো একে অপরের সঙ্গে খুব বেশি খেলেনি। ২০১১ সালে ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়ার পর বাংলাদেশ নারী দল প্রথমবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মুখোমুখি হয় ২০২২ সালের বিশ্বকাপে, নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনে।
সেই ম্যাচে বাংলাদেশকে ১৩৪ রানে অলআউট করে ১০০ রানে জিতেছিল ইংল্যান্ড। শক্তিশালী এই দলটির বিপক্ষে নামার আগে দলের বোলিং আক্রমণ নিয়ে কিছুটা আত্মবিশ্বাসী জ্যোতি। পাকিস্তানের বিপক্ষে মারুফার পারফরম্যান্সে স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
সেই ম্যাচে ৩১ রান খরচায় দুই উইকেট নেন মারুফা। ওমাইমা সোহেইল এবং সিদরা আমিনকে বোল্ড করেন তিনি। টপ অর্ডারের ভাঙনে ১২৯ রানের বেশি করতে পারেনি পাকিস্তান। বাংলাদেশ ম্যাচটি জিতে সাত উইকেটে।
গুয়াহাটিতে ইংল্যান্ড ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে জ্যোতি বলেন, 'আগেও আমাদের দলে ভালো কিছু পেসার ছিল, তবে মারুফাকে নিয়ে যে আলোচনা হচ্ছে, সেটি কেউ পায়নি।'
মারুফা আক্তারের ওপর ভরসা রেখে জ্যোতির প্রত্যাশা, তরুণ এই পেসার নিজের পারফরম্যান্সে মনোযোগ ধরে রাখবেন। অধিনায়কের ভাষায়, 'ওর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বিশ্বকাপে মনোযোগ রাখা। আশা করছি, এসব আলোচনা তার পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলবে না।'
এদিকে বাংলাদেশের মতো ইংল্যান্ডের শুরুটাও হয়েছে অনেকটা একইরকম আত্মবিশ্বাস নিয়ে। প্রথম ম্যাচে সাউথ আফ্রিকাকে মাত্র ৬৯ রানে গুটিয়ে দিয়ে কোনো উইকেট না হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় হিদার নাইটের দল। অভিজ্ঞতায় ও সাম্প্রতিক ফর্মে এগিয়ে থাকায় ইংল্যান্ডই আসন্ন এই ম্যাচে পরিষ্কার ফেভারিট।
তবে মারুফাকে নিয়ে চিন্তিত ইংল্যান্ডও। দলটির অলরাউন্ডার চার্লি ডিন বলেন, 'পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ দারুণ জয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছে। তাদের বোলিং অ্যাটাক দুর্দান্ত। অবশ্যই এমন কন্ডিশনে তারা খুব ভালো দল। আমাদের মারুফার সুইং সামলানোর চেষ্টা করতে হবে।'
তবে উইকেটের চরিত্র দেখে চূড়ান্ত একাদশ ঠিক করবেন বলে জানিয়েছেন নিগার। ইংল্যান্ডের একাদশে বেশ কয়েকজন ডানহাতি ব্যাটার থাকায় বাংলাদেশের বোলিং কম্বিনেশনেও পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।