শুধু তাই নয় বিভিন্ন জেলা থেকে বিসিবির নির্বাচন থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। লুৎফুর রহমান বাদল, হাসিবুল আলম, আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদোয়ানরা নির্বাচনের ঠিক কয়েকদিন আগে সরে দাঁড়িয়েছেন। নির্বাচনের ঠিক আগেরদিন বিসিবিতে হাজির হয়েছিলেন বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
এদিন নিজেদের সাফল্য ও ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলেছেন। জানিয়েছেন যারা বয়কট করেছেন নির্বাচন সেটা একান্তই তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। বিসিবি নির্বাচন নিয়ে বুলবুল বলেন, ‘যে যে এখানে আসছে না বা বয়কট করেছে, তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন করতে যাচ্ছি। এর বাইরে কোনো কথা বলব না।’
তামিম পন্থীদের পক্ষ থেকে একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে বিসিবি নির্বাচনে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপের। তবে ক্রীড়া উপদেষ্টা এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। উল্টো তামিমদের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। বিসিবি নির্বাচনে বুলবুলকে ক্রীড়া উপদেষ্টা বাড়তি সহযোগীতা করছেন বলেও অভিযোগ আছে।
এমন অভিযোগের জবাবে বুলবুল বলেন, ‘আমার ঠিক মনে নেই, কবে আমি বলেছি ক্রীড়া উপদেষ্টা আমাকে অনুরোধ করেছেন বা ক্রীড়া উপদেষ্টা সহযোগিতা করেছেন। যে সময়সীমার মধ্যে আমি কাজ করছিলাম আর কী! এখানে তাকে আমি ধন্যবাদ দিতে চাই আরেকটা কারণে। তিনি একজন মন্ত্রী পদমর্যাদার মানুষ। আমি জানি তিনি রাজশাহীতে গিয়েছেন। শুধু সুষ্ঠু নির্বাচন না, চেষ্টা করেছেন যেন ভালো বোর্ড তৈরি করতে পারি। এখানে আমার কাছে প্রভাবের কিছুই মনে হয়নি।'
বুলবুল আবারও জানিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের স্বার্থেই তিনি বিসিবি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তিনি বলেন, 'আমার মনে হয়েছে যে, বাংলাদেশের ক্রিকেটের স্বার্থে আমাকে চালিয়ে যেতে হবে। যারা আমাকে ভোট দিচ্ছেন বা দেবেন না, কিংবা আপনারা যারা আছেন, যদি মনে করেন যে আমি যথেষ্ট যোগ্য নই, তবে আমি যে কোনো সময় সরে যেতে প্রস্তুত। তবে একই সঙ্গে আমার একটাই লক্ষ্য- বাংলাদেশ ক্রিকেট।'