টি-টোয়েন্টিতে গত বছরটা বেশ ভালো কেটেছে হৃদয়ের। ২০২৪ সালে ২১ ম্যাচে ৩০.৮১ গড় ও ১৩০.০৭ স্ট্রাইক রেটে করেছিলেন ৪৯৩ রান। অথচ চলতি বছরে ১৫ ম্যাচে ২৩.৬৩ গড় ও ১০৮.৭৮ স্ট্রাইক রেটে ২৬০ রান করেছেন। মাঝের ওভারের ব্যাটিংয়ে হৃদয় যে ধুঁকছেন সেটা স্পষ্টই। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৩ বলে ১০, দ্বিতীয় ম্যাচে ২৫ বলে ৩১ আর শেষ টি-টোয়েন্টিতে ২৫ বলে ২৭ রান করেছিলেন।
পাকিস্তান সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মিরপুরের ধীরগতির উইকেটে ৩৭ বলে ৩৬ রান করেছিলেন। সবশেষ নেদারল্যান্ডস সিরিজে শেষ ম্যাচে ৯ রান করতে খেলেছিলেন ১৪ বল। ব্যাটিংয়ের অস্বস্তিটা দেখা গেছে এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচেও। হংকংয়ের বিপক্ষে অপরাজিত ৩৫ রান করেছেন ৩৬ বল খেলে। যেখানে সর্বসাকুল্যে একটি মাত্র চার মেরেছেন। অথচ তাঁর সঙ্গে জুটি গড়া লিটন খেলেছেন ৬ চার ও এক ছক্কায় ৩৯ বলে ৫৯ রানের ইনিংস।
সম্ভাবনা নিয়ে শুরু করলেও সাম্প্রতিক সময়ে টি-টোয়েন্টির ছন্দ খুঁজে পেতে ধুঁকতে হচ্ছে হৃদয়কে। একটা সময় দলের অটোয়েজ হলেও এখন সেই সুযোগটা নেই। নিয়মিত ভালো করতে না পারলে তাঁর জায়গায় একাদশে সুযোগ মিলতে পারে সাইফ হাসানের। ডাচদের বিপক্ষে সুযোগ পেয়ে মারকাটারি ব্যাটিংয়ে সেটার প্রমাণও দিয়েছেন। হৃদয় তাই মনে করেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটে তাঁর হানিমুন পিরিয়ডটা শেষ হয়ে গেছে। তবে হৃদয়ের বিশ্বাস দ্রুতই এমন অবস্থা থেকে বের হয়ে আসবেন তিনি।
ম্যাচ শেষে হৃদয় বলেন, ‘জ্বী, আমার তো হানিমুন পিরিয়ড শেষ, আপনি যেটা বললেন। আমিও চেষ্টা করছি। যেহেতু হানিমুন পিরিয়ড শেষ হয়েছে এজন্য আমিও অনুশীলনে যাচ্ছি, চেষ্টা করছি। হয়ত হচ্ছে না। আপনি যদি দেখেন বিশ্বের কোনো খেলোয়াড়ই একই গ্রাফে যেতে পারে না। আমি হয়ত কয়েকটা ম্যাচে ধুঁকেছি, ইনিংস বড় করতে পারছি না।’
‘টি-টোয়েন্টি খেলাটা এমন অনেক সময় ১৫-২০ রানও অনেক প্রভাব ফেলে। সবসময় ৫০ কিংবা ১০০ করতে হবে ব্যাপারটা এমন না। হ্যাঁ, আমি ধুঁকছি এবং চেষ্টা করছি। আমার হাতে যা আছে, আমার প্রক্রিয়া অনুযায়ী আমি চেষ্টা করতে পারি। আশা করছি এখান থেকে বেরিয়ে আসব ইনশাআল্লাহ।’
সবশেষ কয়েকটা ম্যাচে ভালো শুরু পেলেও সেগুলোকে পঞ্চাশে রূপ দিতে পারেননি হৃদয়। সবচেয়ে বড় কনসার্নের জায়গায় টি-টোয়েন্টির প্রত্যাশা মেটাতে না পারা। এসব কাটিয়ে উঠতে উন্নতির বিকল্প নেই ডানহাতি ব্যাটারের সামনে। হৃদয় মনে করেন, উন্নতির অনেক জায়গা আছে। সেই সঙ্গে তরুণ এই ব্যাটার বিশ্বাস করেন, দুই-তিনটা বাউন্ডারি মারতে পারলেই চিত্রটা বদলে যাবে।
হৃদয় বলেন, ‘উন্নতির জায়গা তো অনেক আছে। চেষ্টা করছি উন্নতি করার। আমি প্রতিদিন আমার হাতে যা আছে তা নিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছি। স্ট্রাগল, হ্যাঁ করছি। বিশ্বের সব খেলোয়াড়ই কমবেশি করে। আমিও করছি। হয়তো ইনিংসগুলো বড় করতে পারছি না। দুই-তিনটা ইনিংসে ৩০ রানে আউট হয়ে গিয়েছি। চেষ্টা করছি যে এখান থেকে শুধু আরেকটা ধাপ এগোতে। দুই-তিনটা বাউন্ডারি মারতে পারলে হয়তো খেলার চিত্রটা বদলে যাবে।’