সিরিজের মাঝপথে কথা বলে ক্রিকেটারদের অতিরিক্ত চাপ দিতে চান না বুলবুল

ছবি: ফাইল ছবি

ফারুক আহমেদ সরে যাওয়ার পর নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক বিসিবি সভাপতি হওয়ার দিনে আরেকটি ব্যাটিং ধসে সিরিজ খুইয়েছেন লিটনরা। টানা হারে আইসিসির টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে ৯ থেকে ১০ নম্বরে নেমে এসেছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টির মতো ওয়ানডেতেও তাদের অবস্থান দশে। টেস্টে একটু এগিয়ে থাকলেও বাংলাদেশ রয়েছে নয়ে।
বিসিবিতে ‘ট্রিপল সেঞ্চুরি’ করতে চান সভাপতি বুলবুল
১ জুন ২৫
একের পর এক ম্যাচ হারলেও সভাপতি হওয়ার পর ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা হয়নি বুলবুলের। সভাপতি হয়েই পাকিস্তানে অবস্থান করা বিসিবির সহ-সভাপতি ও ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিমের সঙ্গে আলাপ করেছেন তিনি। বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসজেএ) অফিসে গিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে জানান, সিরিজ চলাকালীন ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলাপ করে অতিরিক্ত চাপ দিতে চান না। পাশাপাশি এও জানান, তাঁর কাজটা হচ্ছে পরিচালকদের সঙ্গে কথা বলা।

এ প্রসঙ্গে বুলবুল বলেন, ‘না, এখনো সরাসরি কথা হয়নি। আমাদের একজন পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিম ভাই ওইখানে আছেন—উনি এখন সহ-সভাপতি ক্রিকেট বোর্ডের। তাঁর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমরা অপেক্ষা করছি তাদেরকে (ক্রিকেটারদের) অতিরিক্ত চাপ না দেয়ার জন্য। যেহেতু আমার কাজটা খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলা না, আমার কাজ হচ্ছে পরিচালকদের সঙ্গে কথা বলা। যখন সুযোগ হবে তখন অবশ্যই তাদের সঙ্গে বসব। টুর্নামেন্টের মাঝখানে তাদের যে পরিকল্পনা আছে তাদের সঙ্গে কথা না বলাই ভালো।’
শ্রীলঙ্কা সিরিজ দিয়েই ফেরার লক্ষ্য ইবাদতের
১১ ঘন্টা আগে
বিসিবির পরিচালকদের ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হয়ে নিজের প্রথম দিনেই বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে প্রেজেন্টশন দিয়েছেন বুলবুল। ক্রিকেট বিকেন্দ্রীকরণের অংশ হিসেবে রাজশাহী ও চট্টগ্রামে বিসিবির মিনি অফিস চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া সভাপতি হয়েই প্রটেক্ট দ্য স্পিরিট অব দ্য গেম, হাই পারফরম্যান্স ফর এভ্রিওয়ান, কানেক্ট অ্যান্ড গ্রো এবং ট্রান্সপারেসি অ্যান্ড গুড গভার্নেন্স ইন অল এরিয়ার মতো প্রোগ্রামও শুরু করতে যাচ্ছেন।
সভাপতি হওয়ার দ্বিতীয় দিনে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে ( এনএসসি) যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সঙ্গে দেখা করেছেন বুলবুল। যেখানে নিজের পরিকল্পনার কথা জানালে তাঁর সঙ্গে একমত হয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা। উনার নির্দেশনা ও উৎসাহ পেয়ে খুশি বিসিবি সভাপতি। বুলবুল বলেন, ‘প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও ক্রীড়া উপদেষ্টাকে—আমাকে ডেকেছেন এখানে। তাঁর যে উদার চিন্তাধারা আমাকে অভিভূত করেছে কয়েকটা কারণে যেমন—এই মুহূর্তে আমাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে ক্রিকেটকে বিকেন্দ্রীকরণ করা এবং তাঁর মতের সঙ্গে আমরা শতভাগ একমত হয়েছি।’
‘তিনি যেভাবে সুযোগ-সুবিধা উন্নতির জন্য বাংলাদেশ সরকারের অন্যান্য বিভাগ যেমন—শিক্ষা মন্ত্রণালয়....ইভেন্টগুলো চালিয়ে যেতে বলেছে। আমাদের যে পরিকল্পনা আছে সেটার একটা চার্টার্ড তৈরি করেছি আমাদের নিজেদের জন্য সেটার সঙ্গে শতভাগ মিলে গিয়েছে। উনার নির্দেশনা আমরা পাচ্ছি। আমরা যে চার্টার্ড তৈরি করেছে সেটা আমাদের সরকার ও ক্রীড়া উপদেষ্টা সহায়তা করবেন এবং উৎসাহ দিয়েছেন। আমরা খুবই খুশি।’