ইফতেখারের সেঞ্চুরি, মইনের ৯ রানের আক্ষেপ

মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে চতুর্থ ওভারেই উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। মোকোয়েনার অফ স্টাম্পের বাইরের লাফিয়ে ওঠা লেংথ ডেলিভারিতে খোঁচা দিতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন আশিকুর রহমান শিবলী। প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি করা ডানহাতি ওপেনার এদিন ১৩ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি। আশিকুর আউট হওয়ার পর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন চৌধুরি মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ইফতেখার। তারা দুজনে মিলে বেশ খানিকটা সময় কাটিয়ে দেন।

ইনিংসের ১৭তম ওভারে রিজওয়ান ও ইফতেখারের জুটি ভাঙেন মোগাকানে। ডানহাতি পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে প্রথম স্লিপে থাকা মুহাম্মদ মোনাককে ক্যাচ দিয়েছেন ৩২ বলে ৭ রান করা রিজওয়ান। একটু পর ফিরেছেন শাহাদাত হোসেন দিপুও। মোগাকানের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে শর্ট কভারে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র এক রান। সুবিধা করে উঠতে পারেননি আরিফুল ইসলামও।

মোগাকানের অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে অন সাইডে খেলার চেষ্টায় বলের লাইন মিস করে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন তিনি। ৮ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি আরিফুল। দলের রান পঞ্চাশ পেরিয়ে যাওয়ার পর আউট হয়েছেন প্রীতমও। লাঞ্চ থেকে ফিরেই ইনোসেন্ট এনটুলিকে উইকেট দিয়েছেন তিনি। ডানহাতি স্পিনারের বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়েছেন প্রীতম। ফলে মাত্র ৫৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।

একপ্রান্তে সবাই যখন আসা-যাওয়ার মিছিলে তখন অন্য প্রান্তে সাবলীল ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন ইফতেখার। একেবারে শুরু থেকেই দেখেশুনে ব্যাটিং করতে থাকা বাঁহাতি ওপেনার মোকোয়েনার বলে স্ট্রেইট ড্রাইভে চার মেরে ১৩৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। ইফতেখার দেখেশুনে খেললেও মইন ছিলেন খানিকটা আক্রমণাত্বক। ডানহাতি ব্যাটার পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ৮২ বলে। চা বিরতি থেকে ফিরেই দ্বিতীয় ওভারে দিয়ান ফরেস্টের বলে থার্ডম্যান দিয়ে চার মেরে হাফ সেঞ্চুরি করেন মইন।

শেষ বিকেলে দারুণ ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির পথে ছুঁটছিলেন ইফতেখার ও মইন। স্পিনার জর্জ হার্দিনের বলে পয়েন্ট দিয়ে চার মেরে ২৬১ বলে সেঞ্চুরি করেন ইফতেখার। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২২ বছর বয়সী ওপেনারের এটি দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। আরেক ব্যাটার মইন অবশ্য একশ ‍ছুঁতে পারেননি। ফরেস্টের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে আলগা শট খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ৯ রানের আক্ষেপে পুড়েন মইন। ১৫ চারে ১৫৯ বলে ৯১ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন ডানহাতি এই ব্যাটার।

মইনের বিদায়ে ভাঙে ইফতেখারের সঙ্গে ১৭৯ রানের অনবদ্য জুটি। দিনের শেষ বেলায় আউট হয়েছেন ইফতেখারও। অফ স্পিনার এনটুলির টার্ন করে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে খোঁচা দিতে গিয়ে স্লিপে থাকা মিকা এল প্রিন্সকে ক্যাচ দিয়েছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টার ব্যাটিংয়ে ২৯১ বলে ১০৯ রানের ইনিংস খেলে আউট হয়েছেন ইফতেখার। শেষ বিকেলে অবশ্য বাংলাদেশকে আর কোন উইকেট হারাতে দেননি রাকিবুল হাসান ও রিপন মণ্ডল। সাউথ আফ্রিকার হয়ে মোগাকানে তিনটি এবং এনটুলি নিয়েছেন ‍দুটি উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর—

বাংলাদেশ ইমার্জিং দল— ২৪২/৭ (৮৯ ওভার) (ইফতেখার ১০৯, মইন ৮৯; মোগাকানে ৩/২০, এনটুলি ২/৬৩)