বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়ে প্রথম ইনিংসের সূচনা করে জিম্বাবুয়ে। ওয়ানডে মেজাজে খেলে প্রথম ১০ ওভারে ৩৯ রান করেছে জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার। ইনিংসের ১১তম ওভারেই অবশ্য উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। টেস্ট অভিষেকে বেনেটকে ফিরিয়ে উইকেটের দেখা পান তানজিম হাসান সাকিব।
তার কোয়ার্টার লেংথের ডেলিভারিটি স্কয়ার ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন বেনেট, যদিও পায়ের কোনো মুভমেন্ট ছিল না। অতিরিক্ত বাউন্স পাওয়া বলটি বেনেটের ব্যাটে লেগে অনেকটা প্রথম স্লিপের দিকে যেতে থাকে। অষ্টম ওভারে কারানের ক্যাচ মিস করা সাদমান ইসলামকে সুযোগ না দিয়ে ডান দিকে মোড় নিয়ে সেটি লুফে নেন জাকের আলী অনিক। ফেরার আগে ৩৩ বলে ২১ রান করেন বেনেট। ৪১ রানে ভাঙে জিম্বাবুয়ের ওপেনিং জুটি।
জীবন পেয়েও অবশ্য বেশিদূর যেতে পারেননি কারান। ১৯তম ওভারে তাইজুল বোলিংয়ে আসলে তার ষষ্ঠ স্টাম্প তাক করা বলটি টার্ন করলে স্টাম্প হারান কারান। ফেরার আগে তিনি করেন ৫০ বলে ২১ রান। ৭২ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।
মধ্যাহ্নভোজ বিরতির আগে আর কোনো বিপদ ঘটতে দেননি ওয়েলচ এবং উইলিয়ামস। তখন পর্যন্ত ২৮ ওভারে দুই উইকেটে ৮৯ রান করে জিম্বাবুয়ে। মধ্যাহ্নভোজ বিরতির পর ৩২তম ওভারে একশ স্পর্শ করে জিম্বাবুয়ের রান। বাংলাদেশের স্পিনারদের দেখেশুনে খেলতে থাকেন ওয়েলচ এবং উইলিয়ামস। ১৩০ বলে পঞ্চাশ রানের জুটি গড়েন এই দুজন।
দেখেশুনে খেলতে খেলতে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ওয়েলচ এবং উইলিয়ামস। দুজনই বেশ ছন্দে ব্যাটিং করছিলেন। ১০৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন ওয়েলচ। এর একটু পরই, পঞ্চাশতম ওভারে দেড়শ রান স্পর্শ করে জিম্বাবুয়ে। এর একটু পর, ১১৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন উইলিয়ামস। ওয়েলচের দ্বিতীয় এবং উইলিয়ামসের পঞ্চম হাফ সেঞ্চুরি এটি। চা-বিরতির আগে, ৫৬ ওভারে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ দাঁড়ায় দুই উইকেটে ১৬১।
একদম সকাল থেকে ক্র্যাম্পের সঙ্গে লড়াই করছিলেন ওয়েলচ। শেষ পর্যন্ত সেই লড়াইয়ে হার মেনে নিয়ে চা-বিরতির পর প্রথম ওভারেই মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি। এরপর উইকেটে এসে শুরু থেকেই রয়েসয়ে খেলছিলেন ক্রেইগ আরভিন। যদিও বেশীক্ষণ স্থায়ী হননি তিনি। নাঈম হাসানের সপ্তম স্টাম্প তাক করা ডেলিভারিতে স্কয়ার কাট শট খেলতে গিয়ে লাইন মিস করেন তিনি। বলটি তার ব্যাটের কানা ছুঁয়ে উইকেটরক্ষক জাকের আলী অনিকের গ্লাভসে চলে যায়। ৩১ বলে পাঁচ রান করেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক। ১৭৭ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।
দলের রানের খাতায় আর এক রান যোগ হতেই আরেক উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। নাঈমের লেগ স্টাম্প তাক করা বলে প্যাডেল সুইপ করতে গিয়ে ফাইন লেগে ধরা পড়েন উইলিয়ামস। বাম দিকে লাফ দিয়ে অসাধারণ একটি ক্যাচ নেন তানজিম হাসান সাকিব। ১৬৬ বলে ৬৭ রান আসে উইলিয়ামসের ব্যাটে।
দল দুইশ রান স্পর্শ করার পর ওয়েসলি মাধেভেরে ফিরে যান। ৩২ বলে ১৫ রান করে তাইজুলের বলে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। এরপর ওয়েলিংটন মাসাকাদজা এবং রিচার্ড এনগারাভাকে ফেরান তাইজুল। ছয় রান করা মাসাকাদজাকে লেগ বিফোর উইকেট এবং শূন্য রানে এনগারাভাকে বোল্ড করেন তিনি।
ভিনসেন্ট মাসেকেসা রানআউট হয়ে ফিরে যান। ওয়েলচ আবার ব্যাটিংয়ে নামলে তাকেও বোল্ড করেন তাইজুল। ৫৪ রান আসে তার ব্যাটে। তাফাদজয়া শিগা ৫৯ বলে ১৮ রানে অপরাজিত আছেন। ৬০ রান খরচায় পাঁচ উইকেট নেন তাইজুল, ৪২ রান খরচায় দুই উইকেট নেন নাঈম।