মুশফিক-মাহমুদউল্লাহদের হাত ধরে ট্রফি আসুক মানুষ এটাই চায়: ইমরুল

ছবি: মুশফিকুর রহিম (বামে), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (ডানে) , ফাইল ফটো

রাওয়ালপিন্ডিতে গতকালের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশের স্কোর ছিল দুই উইকেটে ৯৭ রান। হঠাৎ করেই সেটা হয়ে যায় পাঁচ উইকেটে ১১৮ রান। তাওহিদ হৃদয় (৭), মুশফিক (২), মাহমুদউল্লাহ (৪)-এই তিন ব্যাটারকে ফেরান মাইকেল ব্রেসওয়েল।
ইমরুলের সেঞ্চুরি মিসের দিনে অঘটনের শিকার আবাহনী
৩ মার্চ ২৫
এদের মধ্যে মুশফিক অনেকটা অযথাই স্লগ সুইপ খেলতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। মাহমুদউল্লাহ লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে শর্ট থার্ড ম্যানে ক্যাচ দেন। দুজনের ব্যাটে আসে যথাক্রমে দুই ও চার রান। তাদের দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ে বিপদে পড়া বাংলাদেশ আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। ৯ উইকেটে ২৩৬ রানে থামে দলটি, যা সহজেই টপকে যায় কিউরা।
ম্যাচ নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে ক্রিকফ্রেঞ্জির লাইভে ইমরুল বলেন, 'দেখেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ দুজনই বড় প্লেয়ার। তাদের নিয়ে আসলে আমার কথা বলাটা ঠিক হবে না। তবে এটাও ঠিক যে মানুষ ওদের থেকে আশা করে। আমরা কলিগ বা বন্ধু হিসেবে আমরা মুশফিকের প্রশংসা করতে পারি। বা তার বিপক্ষে কথা বলতে গেলে আমাদের অবশ্যই একটু হলেও খারাপ লাগে। কারণ প্লেয়ার হিসেবে অনেকদিন আমি তার সাথে খেলেছি, মানুষ হিসেবে তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো।'

'আমি যতটুকু জানি মুশফিক খুবই পেশাদার ক্রিকেটার, মাহমুদউল্লাহও। তবে মানুষ ওদের থেকে অনেক বেশি কিছু আশা করে। মানুষ চায় এরা ম্যাচ জিতবে, এদের হাত ধরে বাংলাদেশ ট্রফি জিতবে। আমিও চেয়েছিলাম এদের হাত ধরে ট্রফি আসুক। তাহলে বাংলাদেশ ক্রিকেটের একটা লিগেসি হবে যে এরা বাংলাদেশকে ট্রফি এনে দিয়েছে। এদের ক্যারিয়ারও শেষদিকে। কাল বিরাট কোহলির কাছে সবাই সেঞ্চুরি চাচ্ছিল। তো এই ব্যাপারটিই, সবাই চায় ওরাও ম্যাচ জেতাক। ওদিক থেকে তারাও চেষ্টা করছে হয়ত কোনোভাবে হচ্ছে না।'
‘নাবিক’ মুশফিককে বিদায়ী সংবর্ধনা দেবে বিসিবি
৮ মার্চ ২৫
মাহমুদউল্লাহকে একাদশে নেয়ার কারণে এই ম্যাচ থেকে বাদ পড়তে হয়েছে সৌম্য সরকারকে। সৌম্য থাকলেও খুব বেশি ভালো করতেন, এমনটা বিশ্বাস করেন না ইমরুল। অপরদিকে গত ১৪ ম্যাচে একটি হাফ সেঞ্চুরিও না করতে পারা মুশফিক কেন বাদ পড়েননি, সেটাও অনুমান করতে পারছেন তিনি। মাহমুদউল্লাহ- মুশফিকরা রান পেলেই সব ঠিক হয়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি।
ইমরুল আরও বলেন, 'রিয়াদ ভাই এক সিরিজ আগেও ওয়েস্ট ইন্ডিজে খুব ভালো খেলেছে। আমি আশা করি, তারা নিজেরাও এটা বুঝতেসে। আপনি যদি পারফরম্যান্স চিন্তা করেন তাহলে রিয়াদ ভাইয়ের বাদ পড়ার কথা না। উনি ওয়েস্ট ইন্ডিজে তিন ম্যাচেই ভালো খেলেছে। এখানে প্রথম ম্যাচ খেলেনাই, এজন্য উনাকে জায়গা দিতেই একটি পরিবর্তন (সৌম্যকে নাদ দেয়া) করতে হয়েছে। একটা ব্যাপার হচ্ছে এই ধরনের প্লেয়ারদের (মুশফিক) নেয়ার ক্ষেত্রে বা বাদ দেয়ার ক্ষেত্রে একটা বড় সিদ্ধান্ত হয়ে যায়। যেহেতু এরা বড় প্লেয়ার এদের নিয়ে ওভাবে চিন্তা করতে পারে না।'
'ওপেনিংয়ে আজকে শান্ত ভালো খেলেছে। তানজিদ তামিম প্রতিদিন ভালো শুরু পাচ্ছে, শেষ করতে পারছে না। সৌম্য থাকলে ওরকম হয়ত নাও হতে পারত। আমরা আসলে এ না থাকলে এই হতো, ও থাকলে এই হতো এটা অনেকভাবে বলি। তবে কে থাকলে কী হতো সেটা আমরা অনেকদিন ধরে দেখে আসতেসি। ওইদিক থেকে এভাবে না চিন্তা করাই ভালো। বাংলাদেশ সবসময় চিন্তা করে দলের কথা চিন্তা করে সেরা একাদশ খেলানোর জন্য, ওরা ওইভাবেই সিদ্ধান্ত নেয়। আজকেও ওইভাবেই তাদের নেয়া। হয়ত দুজন সিনিয়র রান পায়নি দেখে কথা হচ্ছে, রান পেলে সব ঠিক হয়ে যাবে।'