লেগ সাইডে ১ হাজার রান হলে সমস্যা নেই, রান হলেই হবে: নাইম

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জির সঙ্গে কথা বলছেন নাইম শেখ

যদিও সব বাধা পেরিয়ে নাইম আবারও নিজের চেনা ফর্মে ফিরেছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে গত কয়েক মৌসুম ধরেই ভালো করছেন তিনি। এবার নাম চিনিয়েছেন বিপিএলেও। খুলনা টাইগার্সের হয়ে এবারের বিপিএলের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক হয়েছেন তিনি।
নাইমের ১৭৬, প্রাইম ব্যাংকের রেকর্ড ও ১৭৩ রানের জয়
২০ ঘন্টা আগে
দলটির হয়ে ১৪ ম্যাচে ৪২.৫৮ গড়ে তার সংগ্রহ ৫১১ রান করেছেন তিনি। স্ট্রাইক রেট ১৪০ এর উপরে। আগের ৫৬ বিপিএলের মধ্যে দুটিতে তিনশর বেশি রান করেছিলেন। তবে স্ট্রাইক রেট ছিল ১২০ এর আশেপাশে। এবার আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে আবারও আলোচনায় এই ওপেনার।
ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে এসে কিছুটা আক্ষেপ হতেই পারে নাইমের। অল্প বয়সে অভিষেক না হয়ে এখন হলেও অভিজ্ঞতার ঝুলি নিয়ে জাতীয় দলকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারতেন তিনি। এটা নিয়ে আক্ষেপ থাকলেও নাইম জানিয়েছেন সামনে এগিয়ে যেতে চান তিনি।

ক্রিকফ্রেঞ্জির সঙ্গে আলাপকালে এই ওপেনার বলেন, 'এখন আমি যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি যতগুলো ম্যাচ খেলেছি, যতগুলো সিরিজ খেলেছি, টুর্নামেন্ট খেলেছি এগুলো যদি এখন খেলতে পারতাম তাহলে অনেক ভালো হতো। কারণ অনেক অভিজ্ঞতা নিয়ে আমি জাতীয় দলে ঢুকতে পারতাম। তারপরও কিছু জিনিস আপনার হাতে নেই। এগুলো নিয়ে আলাদা করে চিন্তা করতে চাই না। এখন নতুন করে এগোতে চাই।'
বাংলাদেশের প্রস্তুতির ঘাটতি ছিল, মানছেন সালাহউদ্দিনও
২৬ ফেব্রুয়ারি ২৫
ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই নাইমের বিরুদ্ধে অপবাদ ছিল লেগ সাইডে বেশি খেলেন তিনি। তবে নাইম এতেও কোনো সমস্যা দেখছেন না। যেভাবেই হোক ব্যাট থেকে রান এলেই হলো তার। তবে বর্তমানে পুরোনো ব্যাটিংয়েরধরন পেছনে ফেলে গোছানো ক্রিকেট খেলছেন তিনি।
সমালোচনা নিয়ে নাইম বলেছেন, 'কেউ যদি বলে পার্টিকুলার তিনটি সাইডে ভালো। তিন সাইডে ভালো করে যদি ৮০০-৯০০ রান করা যায় তাহলে তিন সাইডেই ভালো। কেউ যদি বলে গোছানো হয়েছে এটাও ভালো। রান হলেই হবে। লেগ সাইডে খেলে ১০০০ রান হলে কোনো সমস্যা নেই। অফ সাইডে খেলে ৭০০-৮০০ রান হলেও সমস্যা নাই।'
নিয়মিতই অভিজ্ঞ কোচদের সঙ্গে কাজ করেন নাইম। গত কয়েক বছর ধরে নিজেকে প্রতিনিয়ত ভেঙে গড়েছেন তিনি। সেই সব খোলাসা করে নাইম বলেছেন, 'ঘরোয়াতে অনেক কোচই আছে। আমার যে বয়স ভিত্তিক দলের কোচ মোখলেসুর রহমান বাবলু স্যার আমার কোনো সমস্যা হলে আমি তার সঙ্গে কথা বলি। বালু স্যার রয়েছে। এরপর সুজন স্যার। মোহামেডানের আনোয়ার ভাই আছে। তার সঙ্গে আমি ব্যক্তিগতভাবে তিন বছর কাজ করছি। যখন কোনো ক্যাম্প থাকে না যখন কোনো টুর্নামেন্ট থাকে না প্রতিদিন আমি কাজ করি।'
তিনি আরও যোগ করেন, 'সব মিলিয়ে দেশের অনেক সাবেক ক্রিকেটার বড় ভাই আছে যারা অনেক সাহায্য করে। সব মিলিয়ে উন্নতি করেছি। আপনি এক সাইডে ক্রিকেট খেলতে পারবেন না। যারা এটা বলে তারা ক্রিকেট বুঝে কিনা আমার সন্দেহ আছে। আমি চেষ্টা করছি গুছিয়ে ক্রিকেট খেলার এবং ডিসিপ্লিনভাবে ক্রিকেট খেলা যায়।'