গত মাসে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে নিগার সুলতানা জ্যোতির বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগও তুলেছিলেন জাহানারা। যদিও বিসিবি সেটাকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেয়। তবে ৬ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) রিয়াসাদ আজিমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আরও বেশ কিছু স্পর্শকাতর জিনিস সামনে এনেছেন। যেখানে তিনি স্পষ্ট করে জানান, মঞ্জুরুল ইসলাম ও নারী বিভাগের সাবেক ইনচার্জ প্রয়াত তৌহিদ মাহমুদ তাকে যৌন হয়রানি করেছেন।
সেই সাক্ষাৎকারে জাহানারা অভিযোগ করেছিলেন, বিসিবিকে জানানো হলেও তিনি প্রতিকার পাননি। যার ফলে প্রকাশ্যে এসেই নিজের অভিযোগ নিয়ে কথা বলেন তিনি। ডানহাতি পেসারের এমন অভিযোগের পর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিসিবি। যদি পরবর্তীতে সেখানে আরও দুজনকে যুক্ত করে ক্রিকেট বোর্ড।
তদন্ত কমিটিকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়। ২৮ নভেম্বর সময় শেষ হলেও কোন অগ্রগতি না দেখা যাওয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। তবে বিসিবি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জানায়, জাহানারার অনুরোধের কারণে সময় বাড়ানো হয়েছে। জানা গেছে, গত ৪ ডিসেম্বর তদন্ত কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন জাহানারা। সেই অভিযোগ গ্রহণও করেছেন তারা।
বছর পর বছর ধরে কীভাবে যৌন হয়রানি হয়েছেন, কীভাবে তাকে মানসিক নির্যাতন করেছেন এগুলো উল্লেখ করেছেন। তবে সংবেদনশীলতা এবং গোপনীয়তার কারণে জাহানারার লিখিত অভিযোগের বিষয়বস্তুগুলো প্রকাশ করা হবে না বলে জানিয়েছেন ডানহাতি পেসারের আইনি পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান মাহবুব অ্যান্ড কোম্পানি।
প্রতিষ্ঠানটি থেকে জাহানারার আইনজীবী হয়ে কাজ করছেন ব্যারিষ্টার সাকিব মাহবুব, ব্যারিষ্টার রিফাত রহমান এবং ব্যারিষ্টার তাসমিয়া জামান প্রিয়ান্তী। বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, জাহানারাকে সমর্থন করছে দ্য ওয়ার্ল্ড ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউসিএ) এবং ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)।