'বাংলাদেশকে হারানো মোটেই সহজ নয়'

ছবি:

শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা পেস তারকা হিসেবে আখ্যা দেয়া হয় চামিন্দা ভাসকে। অবশ্য হবেই বা না কেন! ২০০৯ সালে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার আগে সাড়ে তিনশ উইকেট ঝুলিতে পোড়া মুখের কথা নয় একেবারেই।
আর ব্যক্তিটি যখন একজন পেসার, তখন তাঁর জন্য কাজটি আরো অনেক বেশি কঠিন। সেই কাজটিই করে দেখিয়েছেন ভাস। এরই সাথে টেস্টে শ্রীলঙ্কার পক্ষে পেসার হিসেবে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হিসেবে নাম লিখিয়েছেন তিনি।
তবে শুধু টেস্টেই নয় ওয়ানডেতেও মুত্তিয়া মুরলিধরনের পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ভাস (৩৯৯)। সুতরাং অবসরের আগে যে কম ব্যাটসম্যানকে ভোগাননি লঙ্কান এই পেস তারকা সেটি বলাই বাহুল্য। বিশ্বের বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানেরা তাঁর বোলিংয়ের সামনে নতজানু হয়েছে একাধিকবার। সেই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশেরও নাম।

বাংলাদেশের বিপক্ষে ১২টি ওয়ানডে ম্যাচে ১৯ উইকেট শিকার করেছিলেন ভাস। যেখানে তাঁর ইকোনমি রেট ছিলো মোটে ২.৮৯। আর টেস্টে তিনি ছিলেন আরো অনেক বেশি বিধ্বংসী। ৭ ম্যাচে ২.৯২ ইকোনমি রেটে টাইগারদের বিপক্ষে তাঁর উইকেট সংখ্যা ছিলো ১৯টি।
অবশ্য ভাসের সময়কার বাংলাদেশের সাথে এখনকার বাংলাদেশের বিস্তর ফারাক রয়েছে। কেননা সেসময়ের দলটি জয় পেতো অনেকটাই কালেভদ্রে। আর বর্তমানে টাইগাররা মাঠেই নামে জয়ের উদ্দেশ্যে। ভাস নিজেও মানছেন সেটা। সম্প্রতি দেশের শীর্ষ ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের সাথে আলাপকালে লঙ্কান কিংবদন্তী বলছিলেন,
'সেই সময়ে বাংলাদেশ কেবলমাত্র ক্রিকেট খেলা শুরু করেছে, কিন্তু এখনকার সময় বাংলাদেশ দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি দল এবং তাদেরকে হারানো মোটেই সহজ নয়। তারা তাদের বেশিরভাগ ক্রিকেটারকে কাজে লাগিয়েছে এবং তারা তাদের শতভাগ দিয়ে যাচ্ছে এবং তারা আরো উঁচুতে উঠতে চাচ্ছে।'
বর্তমানে বাংলাদেশ দলে যারা খেলছে তাদের মধ্যে সকলেই পারফর্ম করতে উদগ্রীব বলে মনে করেন ভাস। পাশাপাশি বিশ্ব ক্রিকেটের প্রত্যেকটি বড় দলই বাংলাদেশকে সমীহ করে চলে জানিয়ে লঙ্কান কিংবদন্তী বললেন,
'তারা (বাংলাদেশ) তরুণ একটি দল এবং দেশের জন্য পারফর্ম করতে উদগ্রীব। প্রতিদিন তারা শিখছে এবং ভালো করছে এবং আমি নিশ্চিত যে আপনি যদি বাংলাদেশকে যেকোনো বড় দলের মুখোমুখি করান, তাদের জন্য বাংলাদেশকে হারানো একেবারেই সহজ হবে না।'