'পাওয়া না পাওয়ার খেলাই ক্রিকেট'

ছবি:

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) এবারের আসরে দেশি বিদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে ভালোই দল সাজিয়েছে রাজশাহী কিংস। মুশফিক-মুস্তাফিজ-মিরাজদের মত দেশিরা খেলেছে এই দলে। পাশাপাশি সিমন্স-রাইট-সামিদের মত বিদেশি তারকারা ছিল কিংসদের দলে।
নেতৃত্বে থাকা ড্যারেন স্যামির দলটিকে বিপিএল শুরুর আগে আপাত দৃষ্টিতে বেশ গোছানো মনে হয়েছিল। তবে প্রুপ পর্বের ১২ ম্যাচেই ব্যাটে বলে সমর্থকদের হতাশ করেছে গত আসরের ফাইনালিস্টরা। ১২ ম্যাচে মাত্র ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ষষ্ট স্থানে থেকে সন্তুষ্ট থাকতে হয় দলটিকে। ব্যর্থ হয় শেষ চারে জায়গা করে নিতে।
এমনকি দলটিকে হারতে এবারের আসরে গ্রুপ পর্বের নিজেদের শেষ ম্যাচে। চিটাগাং ভাইকিংসের বিপক্ষে ৪৫ রানে হারের পর ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসেন কিংস অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ। গ্রুপ পর্বের আশা জলাঞ্জলি দিয়ে শেষ দুই ম্যাচে হারলেও পুরো সংবাদ সম্মেলন জুড়ে মিরাজকে খুব হাসিখুশি দেখা যায়।

টুর্নামেন্টে ব্যর্থতাকে মিরাজ ক্রিকেটীয় আচরণে ব্যাখ্যা করে। শেষচারে না যেতে পেরেও খুব একটা আক্ষেপ নেই এই টাইগার অলরাউন্ডারের। তবে দলের প্রত্যাশাও যে খুব একটা পূরণ হয়নি সেটাও সাংবাদিকদের ব্যক্ত করেন টুর্নামেন্টে ১০ উইকেট শিকারি এই বোলার।
তার ভাষায়, ‘যেমন হওয়া উচিত ছিলো তেমন হয়নি। তারপরেও যতটুকু হয়েছে তাতে আমি খুশি। কেননা দিন শেষে খেলাটি ক্রিকেট। তবে এটা ঠিক যতটুকু প্রত্যাশা ছিল ততটুকু হয়নি।’
তবে, বিপিএলের এবারের আসরে ইঞ্জুরি যেন পিছু ছাড়েনি রাজশাহীর দলটির। লেন্ডন সিমন্স, ড্যারেন স্যামিসহ বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ের ইঞ্জুরির কারণে দলটিকে পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে বেশ ভুগিয়েছে। তাই ভাগ্যের পরিবর্তে ইঞ্জুরিকে দুষলেন দেশের এই ক্রিকেটার।
তিনি জানান ‘আমার কাছে মনে হয় প্রথম থেকেই ভাগ্য আমাদের সঙ্গে ছিলো না। কারণ আমাদের প্রধান প্লেয়ারগুলোই ইনজুরিতে ছিলো। এটাই আমাদের সবচাইতে বড় দুর্বল দিক যা আমাদের ব্যাকফুটে নিয়ে গেছে।’