সহজেই জিতল রিয়াদের খুলনা

ছবি:

খুলনার বিপক্ষে দিনের প্রথম ম্যাচে ১৪ রানে হেরেছে কুমিল্লা। ১৭৫ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৬০ রানে থামে তামিমদের ইনিংস। খুলনার হয়ে বেনি হাওয়েল ও আবু জায়েদ রাহি দুটি করে উইকেট নেন।
বড় পুঁজি তাড়া করতে নেমে ইনিংসের শুরুতে সোলেমন মিরেকে শুন্য রানে হারায় কুমিল্লা। তবে ইমরুলের সাথে জুটি গড়েপাওয়ারপ্লের সুবিধা নিয়ে রান বাড়াতে থাকেন তামিম।
তবে ভুল সময়ে আউট হন তিন নম্বরে নামা ইমরুল কায়েস। বেনি হাওয়েলের বলে ২০ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। উইকেট পতনে জস বাটলারের সাথে জুটি গড়ার চেস্টা করেন ওপেনার তামিম।
কিন্তু বড় ধাক্কা খায় ইনিংসের দশম ওভারে। ব্র্যাথওয়েটের বলে ভালো খেলতে থাকা তামিম রিয়াদের হাতে ক্যাচ আউট হন। ৩৩ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলে ফিরতে হয় তামিমকে।
স্থায়ী হয়নি বাটলারের ইনিংসও। দলীয় ৯০ রানে ১১ রান করে হাওয়েলের দ্বিতীয় শিকারে পরিনত হন তিনি। উপরের সারির ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা কুমিল্লার কাজ কঠিন করে তোলে।
বিপর্যয়ে অভিজ্ঞ শোয়েব মালিকের ব্যাটে লড়াইয়ে ইঙ্গিত দেয় কুমিল্লা। কিন্তু মোহাম্মদ ইরফানে সাজঘরে ফিরতে বাধ্য হয় মালিক। ২৩ বলে ৩৬ রান করে আউট হন তিনি।

মালিকের বিদায়ে কুমিল্লার জয় কঠিন হয়ে পড়ে। আবু জায়েদ রাহি লোয়ার অর্ডারের দুই উইকেট তুলে নিলে সাত উইকেটে ১৬০ রানে থামে কুমিল্লার ইনিংস। পরবর্তীতে ১৪ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে খুলনা।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে ব্যাট করে ছয় উইকেটে ১৭৪ রান করেছে খুলনা টাইটান্স। ব্যাটসম্যানদের ছোট ছোট পুঁজিতে ভর করে বড় পুঁজি গড়তে সক্ষম হয় রিয়াদ বাহিনী।
কুমিল্লার হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেছেন পেসার আল আমিন হোসাইন। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে নাজমুল হাসান শান্তর ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় খুলনা।
ব্যাটিং পাওয়ারপ্লের সুবিধা নিয়ে দেড়শ স্ট্রাইক রেটে রান তোলেন তিনি। ২১ বল খেলে ৩৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছেন এই তরুন বাঁহাতি ওপেনার। ইনিংসের পঞ্চম ওভারেই খুলনার স্কোর পঞ্চাশ ছাড়িয়ে যায়।
তবে আল আমিনের ইয়র্কারে শান্তর ইনিংসের ইতি ঘটে। যদিও উইকেট পতনে রান রেট কমে নি খুলনার। ওপেনার ক্লিঙ্গার ও মাহমুদুল্লাহ জুটি গড়ে খুলনাকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়ে দেয়।
কিন্তু রিয়াদ ও ক্লিঙ্গার সুযোগ পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেনি। ২৯ রানে ক্লিঙ্গারের বিদায়ের পর ২৩ রানে আল আমিনের বলে আউট হন রিয়াদ। তবে শেষের দিকে ইনফর্ম ফিনিশার আরিফুল ও ব্র্যাথওয়েটের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে শক্ত পুঁজি পায় খুলনা।
১২ বলে ২২ রান যোগ করে ব্র্যাথওয়েট দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হলেও আরিফুলকে ২১ বলে ৩৫ রানের ইনিংসে খুলনাকে ১৭৪ রানের স্কোর এনে দেন।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স স্কোয়াড-
অলোক কাপালি, আল-আমিন হোসেন, ডোয়াইন ব্রাভো, ড্যারেন ব্রাভো, জস বাটলার, ফখর জামান, হাসান আলী, ইমরুল কায়েস, তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস (উইকেটরক্ষক), মেহেদী হাসান, সোলেমন মির, মোহাম্মদ নবী, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মুজিব জাদরান, রশিদ খান, মারলন স্যামুয়েলস, শোয়েব মালিক।
খুলনা টাইটান্স স্কোয়াড-
কাইল অ্যাবোট, আবু জায়েদ রাহী, আফিফ হোসেন, জোফরা আর্চার, আরিফুল হক, কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, ধীমান ঘোষ, মাইকেল ক্লিঙ্গার, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), মোহাম্মদ ইরফান, মোশাররফ হোসেন রুবেল, নাজমুল হোসেন শান্ত, নিকোলাস পুরান (উইকেটরক্ষক), সেকুগে প্রসন্ন, রাইলি রুশো, শফিউল ইসলাম, তানভীর ইসলাম, চ্যাডউইক ওয়ালটন।