পাকিস্তানকে হারিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে সাউথ আফ্রিকা
ছবি: কাগিসো রাবাদা (বামে) এবং মার্কো জানসেন (ডানে), ফাইল ফটো
১১ ম্যাচে সাতটি জয়ে সাউথ আফ্রিকার পয়েন্ট এখন ৮৮, জয়ের হার সবার চেয়ে বেশি (৬৬.৬৭ শতাংশ)। এই পয়েন্ট তালিকায় ৫৮.৮৯ শতাংশ জয়ের হার নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে অস্ট্রেলিয়া ৫৫.৮৯ শতাংশ জয়ের হার নিয়ে তৃতীয়তে ভারত।
লক্ষ্য ছিল ১৪৮ রানের। সাউথ আফ্রিকা জিততে পারত হেসেখেলেই। যদিও সেঞ্চুরিয়ান টেস্টে একাই ঘুরিয়ে দিচ্ছিলেন মোহাম্মদ আব্বাস। তার তোপে নাকাল হয়ে ৯৯ রানেই ৮ উইকেট হারায় সাউথ আফ্রিকা।
শেষ ২ উইকেটে প্রোটিয়াদের দরকার ছিল ৪৯ রানের। লোয়ার অর্ডার থেকে জানসেন আর রাবাদা দুর্দান্ত প্রতিরোধ গড়ায় শেষপর্যন্ত বৃথা গেল আব্বাসের পারফরম্যান্স। মাত্র ৫৪ রান খরচায় ছয়টি উইকেট পেয়েছেন এই পেসার।
শেষ দুইদিনে প্রোটিয়াদের দরকার ছিল ১২১ রান, পাকিস্তানের দরকার ছিল সাত উইকেট। দলীয় ৬২ রানে এইডেন মার্করামের উইকেট হারায় সাউথ আফ্রিকা। ৬৩ বলে ৩৭ রান করে আব্বাসের লেংথ ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে বিদায় নেন তিনি।
এরপর টেম্বা বাভুমা এবং ডেভিড বেডিংহাম ৩৪ রানের জুটি গড়েন। এই জুটিও ভাঙেন আব্বাস। তার বলে খোঁচা মেরে উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দেন বাভুমা। ৭৮ বলে ৪০ রান করেন বাভুমা।
দল একশ রানে পৌঁছানোর আগেই আরও তিনটি উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। দলীয় ৯৯ রানে নাসিম শাহের বলে বোল্ড হন দুই রান করা কাইল ভেরাইনি। চটজলদি ১৪ রান করা বেডিংহামকে বিদায় করেন আব্বাস। বাভুমার মতোই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি।
পরের বলে নিজেদের অষ্টম উইকেটটিও হারায় সাউথ আফ্রিকা। আব্বাসের বলে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানে বিদায় নেন কর্ভিন বশ। তারপর জানসেন ২৪ বলে ১৬ এবং কাগিসো রাবাদা ২৬ বলে ৩১ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন।