ধ্বসের পরও আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ

ছবি:

উইকেট কিছুটা ধির গতির ছিল। তবে বাংলাদেশের স্কোর অবশ্যই ২১৬/৯ হওয়ার মত উইকেট ছিল না। বিশেষ করে বিজয়ের দ্রুত বিদায়ের পর সাকিব-তামিমের শত রানের জুটির পর এমন মাঝারি স্কোর আশার বাইরে ছিল। ব্যাটিং পাওয়ারপ্লেতে পাঁচের উপর রান রেটে ৫১ রান করার পর রাজা ও ওয়েলারে রান থমকে যায়।
তবে তখনো ম্যাচ বাংলাদেশের নাগালেই ছিল। সাকিব ও তামিম স্বভাব বিরুদ্ধ করলেও ইনিংস বড় করে দ্রুত রান তোলার সুযোগ ছিল। কিন্তু ৫১ (৮০ বলে) রানের ইনিংস খেলে সাকিবের বিদায়ের পর শুরু হয় গ্রাহাম ক্রিমার শো। মিডেল অর্ডারে লেগ স্পিনের বিপক্ষে টাইগার ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতা ফের দিনের আলোয় আসে।
লেন্থ থেকে ভেতরে আসা গুগলিতেই একে একে সাজঘরে ফিরে যান মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ ও উইকেটে জমে যাওয়া তামিম। ভালো সূচনার পর মুশফিক সুইপ শট খেলতে গিয়ে আউট হন। সম্পূর্ণ পরাস্ত হন রিয়াদ। তবে বড় ধাক্কা আসে তামিমের ভুলে। রান থমকে যাওয়ায় ক্রিমারকে চাপে ফেলতে স্টেপ আউট করে খেলতে গিয়ে স্ট্যাম্পিং হন তিনি।

৭৬ রানে (১০৫ বল) থামে তামিমের ইনিংস। সুযোগ থাকা সত্ত্বেও বিশেষ অবদান রাখতে পারেনি সাব্বির-নাসির ও মাশরাফিরা। ক্রিমারের বলের মাশরাফি বিদায় নিলেও জারভিসকে উইকেট দিয়ে আসেন সাব্বির-নাসির। ১৪৭ রানে তৃতীয় উইকেট হারানোর পর ১৬৭ রানে সপ্তম উইকেট হারিয়ে বসার পর লজ্জার মুখে পড়তে যাচ্ছিলো বাংলাদেশ।
কিন্তু লোয়ার অর্ডারে সানজামুলের পর মুস্তাফিজের মহাগুরুত্বপূর্ণ দুই ইনিংসে দুইশ ছাড়ানো স্কোর পায় বাংলাদেশ দল। সানজামুল ১৯ ও মুস্তাফিজ ১৮ রানের ইনিংস খেলেন, যা বাংলাদেশকে লড়াই করার মত পুঁজি এনে দেন। জিম্বাবুয়ের হয়ে জারভিস তিনটি উইকেট শিকার করেন। তবে দিনের সেরা বোলার ছিলেন অধিনায়ক গ্রায়াম ক্রিমার। চার উইকেট শিকার করেন তিনি।
বাংলাদেশ দল: তামিম ইকবাল, এনামুল হক বিজয়, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহীম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), সানজামুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন।
জিম্বাবুয়ে একাদশ: হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, সলোমন মিরে, পিটার মুর (উইকেটরক্ষক), ক্রেইগ আরভিন, সিকান্দার রাজা, ব্রেন্ডন টেইলর, ম্যালকম ওয়ালার, গ্রায়েম ক্রেমার (অধিনায়ক), কাইল জারভিস, ব্লেসিং মুজারাব্বানি, তেন্দাই চাতারা।