গত দুই ম্যাচে প্রথম উইকেট পার্টনারশিপে বিজয়-তামিমের ব্যাট থেকে অর্ধশত ছাড়ানো স্কোর পেয়েছিল  বাংলাদেশ। কিন্তু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় দেখায় ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলেন না বিজয়। বড় কিছু করার সুযোগ ছিল বিজয়ের।

কিন্তু মাত্র ১ রান যোগ করে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। চাতারার করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে লেগ বিফরের জোরালো আবেদন থেকে বেঁচে গেলেও তৃতীয় ওভারে এসে জারভিসের লেন্থ থেকে ভেতরে আসা বল থেকে বাঁচতে পারেননি বিজয়।

৭ বল খেলে ১ রান করে দলীয় ৬ রানে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। তবে দুই অভিজ্ঞ তামিম-সাকিবের ব্যাটে ব্যাটিং পাওয়ারপ্লেতেও দ্রুত রিকভার করেছে বাংলাদেশ। সাকিব কিছুটা নড়বড়ে থাকলেও তামিমের সাবলীল ব্যাটিংয়ে দশ ওভারে ৫১ রান তুলে নেয় স্বাগতিকরা।

রান থামাতে দুই প্রান্ত থেকে রাজা ও ওয়ালারের অফ স্পিন ব্যবহার করেন। উইকেট থেকে গ্রিপ আদায় করে সাকিব-তামিমদের কাজ কঠিন করে তোলে জিম্বাবুয়ের দুই স্পিনার। 

ওভার প্রতি চার রান করে তুলে ইনিংসের ২৫তম ওভারে দলের স্কোর একশ রান ছাড়াতে সক্ষম হয় এই দুই বাঁহাতি। একই ওভারে ৭৩ বল খরচায় ফিফটি তুলে নেন সাকিব আল হাসান। স্বভাববিরুদ্ধ ব্যাটিং করা সাকিব ফিফটি করে খোলস থেকে বের হতে চেয়েছিলেন।

রাজার অফ স্পিনে স্টেপ আউট করে কাভারের উপর দিয়ে খেলতে গিয়ে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন সাকিব আল হাসান। তামিমের সাথে শতরানের জুটিতে ৮০ বলে ৫১ রান যোগ করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি।

সাকিবের বিদায়ে রান বাড়ানোর মনোভাব নিয়ে ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম। বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তুলে অন্যপ্রান্তে থাকা তামিমের চাপ কমাতে থাকেন তিনি। তবে ৩৪তম ওভারে ক্রিমারের গুগলিতে টাইমিংয়ের গড়বড় করে কোচ তোলেন মুশফিক।

১৮ রান যোগ করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। মুশফিকের দ্রুত বিদায়ে বড় রান করার সুযোগ পান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু ক্রিমারের গুগলি কাল হয়ে দাঁড়ায় রিয়াদের। ফ্রন্ট ফুট থেকে লেগ স্পিনের জন্য খেলতে গিয়ে লেগ বিফরের ফাঁদে পড়েন তিনি।

উইকেট পতনে রানের চাকা থমকে যাওয়ায় চাপে পড়ে উইকেটে জমে যাওয়া তামিম। রান আটকে উইকেট নেয়ার পরিকল্পনার ফাঁদে পড়েন তামিমও। ফের ক্রিমারের গুগলি পড়তে না পেরে পরাস্ত হন টাইগার ওপেনার।

ক্রিমারের এক স্পেলে তিন উইকেট হারিয়ে বসা বাংলাদেশ দলকে আরও খাঁদের কিনারে নিয়ে যায় পেসার জারভিস। ইনিংসের ৪০তম ওভারে লেন্থ থেকে লাফিয়ে ওঠা বলে পুল শট খেলতে গিয়ে শর্ট মিড উইকেটে থাকা সতর্ক আরভিনের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিনত হন সাব্বির।

ঠিক পরের ওভারে এসে ফের টাইগার ক্যাম্পে আঘাত হানেন জারভিস। স্লোয়ার বলে থার্ড ম্যানে খেলতে যাওয়া নাসির ব্যাট বলে সংযোগ ঘটাতে ব্যর্থ হন। একই পথে হাঁটেন মাশরাফিও। সেই ক্রিমারের লেগ স্পিনে কট বিহাইন্ড হন মাশরাফি। 

মিডেল অর্ডারে ধ্বসের পর দুই বোলার মুস্তাফিজ ও সানজামুলের ব্যাটে বাংলাদেশের স্কোর দুইশর কাছাকাছি পৌঁছে যায়।

বাংলাদেশ দল: তামিম ইকবাল, এনামুল হক বিজয়, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহীম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), সানজামুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন। 

জিম্বাবুয়ে একাদশ: হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, সলোমন মিরে, পিটার মুর (উইকেটরক্ষক), ক্রেইগ আরভিন, সিকান্দার রাজা, ব্রেন্ডন টেইলর, ম্যালকম ওয়ালার, গ্রায়েম ক্রেমার (অধিনায়ক), কাইল জারভিস, ব্লেসিং মুজারাব্বানি, তেন্দাই চাতারা।