promotional_ad

সতেরোতে এসে উজ্জ্বল বাংলাদেশ

promotional_ad

বিদায়ের ক্ষণ গণতে থাকা ২০১৭ সালটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের জন্য যথেষ্টই সাফল্যমন্ডিত ছিলো। এবছর টাইগারদের পারফর্মেন্স ছিলো চোখে পড়ার মত। 


আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৭বছর ধরে টেস্ট খেললেও এই ১৭তম বছরে এসেই এই ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশী উজ্জ্বল টাইগারদের দলীয় পারফর্মেন্স। বছরের শুরুতেই শ্রীলংকার মাটিতে নিজেদের শততম টেস্টে জয় লাভ করে বাংলাদেশ এবং ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ ড্র করতে সক্ষম হয় তারা। 


এসব অর্জনই বলে দেয় এবছর ক্রিকেট অঙ্গনে বাংলাদেশের সাফল্য কতটা ছিলো। শুধু দলগত পারফর্মেন্সই নয়,পাশাপাশি ব্যক্তিগত পারফর্মেন্স দিয়েও নজর কেড়েছেন টাইগার খেলোয়াড়রা। বিশেষ করে টাইগারদের সাবেক টেস্ট দলপতি মুশফিকুর রহিমের টেস্ট পারফর্মেন্স। 


এ বছর ব্যাট হাতে ৭৬৬ রান করেছেন সদ্য বিদায়ী টাইগার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। যেখানে ৫০ ঊর্ধ্ব গড়ে দুটি শতক এবং তিনটি অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন তিনি। 


তবে সবাইকে ছাড়িয়ে এবছরটি শুধু মাত্র নিজের করে নিয়েছেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে দ্বিশতক হাঁকিয়ে বছর শুরু করেছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।



promotional_ad

শুধু ব্যাট হাতেই নয়, বল হাতেও সমান উজ্জ্বল ছিলেন সাকিব। ৭ টেস্টে তাঁর শিকার মোট ২৯টি উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট জয় এবং টাইগারদের শততম টেস্টে জয়ের নায়কও ছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। 


তবে জয়ের পরিসংখ্যানে বেশ কিছুটা পিছিয়েই আছে বাংলাদেশ। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ দল মোট ৯টি টেস্ট খেলেছে। যেখানে মাত্র দুটিতে জয় পেয়েছে তারা। বছরের শুরুতেই নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তিন ফরম্যাটে হোয়াইট ওয়াশের লজ্জায় ডুবতে হয়েছিলো বাংলাদেশ দলকে।



কিউইদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের একমাত্র অর্জন সাকিবের ডাবল সেঞ্চুরি এবং মুশফিকের সেঞ্চুরি। এই দুজন মিলে ৩৫৯ রানের জুটিও গড়েছিলেন সিরিজের প্রথম টেস্টে। 


ব্যর্থতা রয়েছে আরো। নিউজিল্যান্ড সিরিজ শেষে ভারতের হায়দ্রাবাদে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক টেস্টে  ২০৮ রানের পরাজয় বরণ করতে হয়েছিলো মুশফিক বাহিনীকে। তবে সেই ম্যাচে প্রাপ্তি ছিলো অধিনায়ক মুশফিকের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি। 



তবে এরপর আগস্ট মাসে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দারুণভাবে নিজেদের সামর্থ্যের জানান দিতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। অজিদের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে দুর্দান্ত একটি জয় ছিনিয়ে আনে টাইগাররা। সিরিজ জয়ের আশা জাগিয়েও অবশ্য শেষ পর্যন্ত সমতা নিয়েই শেষ করতে হয়েছিলো মুশফিকের দলকে। 


অজিদের বিপক্ষে দুর্দান্তভাবে সিরিজ শেষ করা বাংলাদেশকে নিয়ে প্রত্যাশা ছিলো দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজেও। কিন্তু এক্ষেত্রে হতাশায় পর্যবসিত হতে হয়েছে টাইগার ভক্তদের। কেননা দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে গিয়ে তিন ফরম্যাটেই বেশ বাজেভাবে ধবল ধোলাই হতে হয় বাংলাদেশকে। সুতরাং হোয়াইটওয়াশের লজ্জা মাথায় নিয়েই বছরটি শেষ করতে হচ্ছে টাইগারদের। 


সাফল্যের দিক থেকে এবছর বাংলাদেশের অর্জনের পাল্লাটি কিছুটা ভারী থাকলেও দুঃখের বিষয় হলো বছরের শুরুর মতো শেষটাও লজ্জা দিয়েই শেষ করতে হচ্ছে টাইগারদের। এখন দেখার বিষয় ২০১৮ সালে মুশফিক-সাকিবরা নিজেদের ছাড়িয়ে যেতে পারেন কিনা।  



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball