পাকিস্তানের কাছে হেরে বাংলাদেশের বিদায়

বাংলাদেশ
পাকিস্তানের কাছে হেরে বাংলাদেশের বিদায়
ক্রিকফ্রেঞ্জি
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
‘বাংলাদেশের ব্যাটাররা সবাই এখানে হিরো হওয়ার চেষ্টা করেছে।’ লক্ষ্যটা মাত্র ১৩৪ রানের। এমন রান তাড়া করতে নেমে উইকেটে এসেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিতে চাইলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ঝুঁকিপূর্ণ শটে একটা ছক্কা মারছেন আর উইকেট বিলিয়ে দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের এমন ব্যাটিং দেখেই ধারাভাষ্যকক্ষে বসে এমন মন্তব্য করেছিলেন সুনীল গাভাস্কার। টপ অর্ডার থেকে মিডল অর্ডার সবাই হেঁটেছেন একই পথে। ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনে ২৫ বলে ৩০ রান করলেন শামীম হোসেন পাটোয়ারি। বাঁহাতি ব্যাটারের ওমন ইনিংস কেবল বাংলাদেশের হারের ব্যবধান কমিয়েছে। পাকিস্তানের কাছে ১১ রানে হেরে এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিয়েছেন জাকের আলী অনিকরা। টাইগারদের হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে পাকিস্তান। এশিয়া কাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফাইনালে খেলবে পাকিস্তান ও ভারত।

দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ১৩৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের প্রথম ওভারেই পারভেজ হোসেন ইমনের উইকেট হারায় তারা। শাহীন আফ্রিদির শর্ট অব লেংথ ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে নাওয়াজকে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। ২ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি বাঁহাতি এই ওপেনার। হারিস রউফের ওভারে ছক্কা ও চার মেরে চাপ কমান সাইফ।

যদিও পঞ্চম ওভারে ফিরতে পারতেন তিনি। শাহীন আফ্রিদির অফ স্টাম্পের বাইরের বলে পয়েন্টে ঠেলে দিয়ে রান নিতে চেয়েছিলেন তাওহীদ হৃদয়। বল ফিল্ডারের হাতে যাওয়ায় স্ট্রাইক প্রান্তে ফেরেন তিনি। অন্যপ্রান্তে থাকা সাইফ অবশ্য একটা দৌড়ে এসেছিলেন। হৃদয় দৌড় না দেয়ায় নন স্ট্রাইক রান আউট হতে পারতেন সাইফ। তবে পাকিস্তানি ফিল্ডারদের হাস্যকর ফিল্ডিংয়ে জীবন পেয়েছেন তিনি। যদিও পরের বলেই আউট হয়েছেন হৃদয়।

শাহীন আফ্রিদিকে ছক্কা মারার চেষ্টায় টপ এজ হয়ে সাইম আইয়ুবকে ক্যাচ দিয়েছেন ১০ বলে ৫ রান করে। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে আউট হয়েছেন সাইফও। হারিসকে ফ্লিক করতে গিয়ে লিডিং এজ হয়ে পয়েন্টে ক্যাচ দিয়েছেন ২ ছক্কায় ১৫ বলে ১৮ রান করে। ব্যাটিং ব্যর্থতায় পাওয়ার প্লেতে তিন উইকেট হারিয়ে ৩৬ রান তোলে বাংলাদেশ। ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেলেও সেটা কাজে লাগাতে পারেননি শেখ মেহেদী।

নাওয়াজের ঝুলিয়ে দেয়া ডেলিভারিতে এক্সট্রা কভারের উপর দিয়ে খেলার চেষ্টায় হুসাইন তালাতের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। ১০ বলে ১১ রান করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ৪৪ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ে তোলার চেষ্টা করেন সোহান ও শামীম। যদিও তাদের দুজনের জুটি বড় হয়নি। ডাউন দ্য উইকেটে এসে ছক্কা মারতে চেয়েছিলেন সোহান। তবে টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়ায় ২১ বলে ১৬ রান করে ফিরতে হয়েছে তাকে।

শামীমকে সঙ্গ দিতে পারেননি জাকেরও। অফ স্পিনার সাইমকে নাগালের বাইরের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে লং অফে নাওয়াজকে ক্যাচ দিয়েছেন ৯ বলে ৫ রান করে। শেষের দিকে আউট হয়েছেন শামীমও। পেসার আফ্রিদির স্লোয়ার ডেলিভারিতে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে আউট হয়েছেন ৩০ রানে। শেষ পর্যন্ত রানে ১২৪ রানে থেমেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন শাহীন আফ্রিদি ও হারিস।

আরো পড়ুন: বাংলাদেশ