টস জিতে আগে বোলিং নিয়ে শুরুটা দারুণ করে বাংলাদেশ। শুরু থেকেই পাকিস্তানের ব্যাটারদের চাপে রাখে তারা। তাসকিন আহমেদ, রিশাদ হোসেন, শেখ মেহেদীদের সম্মিলিত আক্রমণে ৪৯ রানেই পাঁচ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
এরপর মোহাম্মদ হারিসের ২৩ বলে ৩১, শাহীন শাহ আফ্রিদির ১৩ বলে ১৯ এবং মোহাম্মদ নাওয়াজের ১৫ বলে ২৫ এবং ফাহিম আশরাফের ৯ বলে অপরাজিত ১৪ রানের ইনিংসে আট উইকেটে ১৩৫ রান তোলে দলটি।
জবাবে আফ্রিদি, হারিস রউফদের দাপুটে বোলিংয়ে বাংলাদেশও রীতিমতো ধুঁকতে থাকে। সঙ্গে যোগ দেন সাইম আইয়ুব এবং নাওয়াজও। ৪৪ রানে চার এবং ৬৩ রান তুলতে পাঁচ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
২৫ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ৩০ রান আসে শামীম পাটোয়ারির ব্যাটে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮ রান করেন সাইফ হাসান। এ ছাড়া ১৬ রান করে করেন নুরুল হাসান সোহান এবং রিশাদ হোসেন। পাকিস্তানের বোলিং যতটা ভালো ছিল, তার চেয়ে হতশ্রী ছিল বাংলাদেশের ব্যাটারদের ব্যাটিং নিবেদন।
আগের ম্যাচেও ১৬৯ রান তাড়া করতে গিয়ে রীতিমতো উইকেট হারানোর মিছিলে নামে বাংলাদেশ। সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিতলেও ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা দুটি ম্যাচ হারায় হতাশ জাকের।
ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, 'ব্যাটিং বিভাগ হিসেবে শেষ দুটো ম্যাচে আমরা হেরেছি। কিন্তু বোলিং ইউনিট খুব ভালো কাজ করছে, ছেলেরা দারুণ করছে। গতকালও ব্যাটিং আমাদের ম্যাচ হারিয়ে দিয়েছে, আজও তাই হয়েছে।'
নিয়মিত অধিনায়ক লিটন দাস সাইড স্ট্রেইনের চোটে থাকার কারণে সুপার ফোরের শেষ দুই ম্যাচে নেতৃত্ব দেন জাকের। তার অধীনে বাংলাদেশ পরপর দুটি ম্যাচ হেরে যাওয়ায় হতাশ তিনি। তবে আসরজুড়ে দারুণ পারফর্ম করা সাইফ হাসান এবং বোলারদের কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুল করেননি তিনি।
জাকের বলেন, 'অধিনায়ক হিসেবে অভিজ্ঞতা একটু কঠিন, কিন্তু আমি সুযোগ নিতে চেয়েছি, নিজের খেলা খেলেছি, নেতৃত্বে মানিয়ে নিতে চেষ্টা করছি আর উপভোগ করছি। যেসব খেলোয়াড় আমাকে গর্বিত করেছে, তারা হলেন আমাদের বোলার রিশাদ ও সাইফ।'
'ব্যাটসম্যান হিসেবে সাইফ পুরো টুর্নামেন্টে খুব ভালো খেলেছে, তবে দুর্ভাগ্যবশত আমরা তাকে যথেষ্ট সাপোর্ট দিতে পারিনি। বোলিং ইউনিট হিসেবে আমরা এই টুর্নামেন্টে সত্যিই দারুণ করেছি।'